করোনার কারণে আজ থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে শহীদুজ্জামান সেলিম

শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস নিয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছেন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। ২২ মার্চ থেকে শুটিং বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। তার আগে থেকেই সতর্ক এই অভিনেতা বন্ধ করে দিয়েছেন সব শুটিং। শুটিং বন্ধের পর থেকেই বাসায় থেকেছেন তিনি। এই সময়ে বাসায় অবস্থান করলেও পরিবারের জন্য বাজার করতে কিংবা প্রয়োজনীয় কাজে স্বল্প পরিসরে বাইরে বের হতে হয়েছে তাঁকে। তবে আজ থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন শহীদুজ্জামান সেলিম।

এই অভিনেতা তাঁর নিকেতনের বাসা থেকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আজ থেকে আমি হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। এর আগে বেশ কয়েকবার প্রয়োজনীয় কাজে বাধ্য হয়ে বের হতে হয়েছে। যদিও স্বল্প সময়ের জন্য গিয়েছি। এখন আর বের হচ্ছি না। এই সময়ে সতর্কতার সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে থাকা প্রয়োজন। কারণ, সবাই করোনা নিয়ে সতর্কতার পাশাপাশি আতঙ্কেও আছে। আমি চাই আতঙ্কিত না হয়ে পরিবারের সবাই সচেতন হলেই এই ভাইরাসটি প্রতিরোধে সচেষ্ট হব।’

শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

শহীদুজ্জামান জানান, প্রতিদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো নিয়ম করে মেনে চলছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে সতর্ক থাকি, তাহলে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারব। আমাদের সবার দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের পাশাপাশি সবাইকে এই মুহূর্তে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নইলে এই সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন।’

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন শহীদুজ্জামান। এখন বাসা থেকেই ভিডিও কনফারেন্সে সাংগঠনিক সব মিটিং করছেন বলে জানান তিনি। শহীদুজ্জামান বলেন, ‘ব্যস্ততা সবারই থাকে। সেই কাজগুলো বাইরে না গিয়ে সবাই মিলে ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানেও সুন্দরভাবে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করা যায়।’

‘এনকাউন্টার’ ছবিতে শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
‘এনকাউন্টার’ ছবিতে শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

বাড়িতে এখন সময় কাটছে বই পড়ে। শহীদুজ্জামান বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাস অনেক দিনের। বইমেলা থেকে অনেকগুলো বই কিনেছিলাম, সেগুলো এখন পড়ছি। বাসায় নিজে এবং পরিবারকে সময় দিচ্ছি।’

শহীদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক শিল্পী–কলাকুশলী আছেন, যাঁরা দিন আনে দিন খায়। তাঁরা এখন কিছুদিন চলতে পারলেও এই করোনা পরিস্থিতির কারণে যদি শুটিং আরও বেশি দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে অনেকেই কর্মহীন হয়ে যাবেন। এই মুহূর্তে মানুষ হিসেবে যাদের সামর্থ্য আছে, তাঁদের এই সংকটে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।’

‘অনেকের মধ্যেই লোভ আছে। তাঁরা শুধু নিজের কথা চিন্তা করছেন। এটা স্বার্থপরতা, এটা খুবই নিন্দনীয় এবং ঘৃণিত কাজ। এই বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এখন সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এখন অন্যের কথাও ভাবতে হবে। আপনারা দরকারের বেশি কেনাকাটা করবেন না, সবাই অন্যের কথা ভেবে কেনাকাটায় পরিমিত হন’ বললেন শহীদুজ্জামান সেলিম।