হাত জোড় করে খাবার, অর্থ চাইলেন বিদ্যা

বিদ্যা বালান । ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
বিদ্যা বালান । ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

সময়টা যে মোটেই ভালো যাচ্ছে না, তা ভালোই টের পেয়েছেন বলিউড তারকারা। সিরিয়াস মুখ করে ঘরে বসে ভক্তদের ঘরে থেকে লকডাউন সফল করে করোনার চেইন ভাঙতে অনুরোধ করছেন তাঁরা। এদিকে ‘ডার্টি পিকচার’ খ্যাত বিদ্যা বালানও একই কথা বলেছেন।

বিদ্যার বক্তব্যে আরও উঠে এসেছে ‘দিন আনে দিন খায়’ মানুষের কথা। ৪১ বছর বয়সী এই বলিউড তারকা আরও জানান, এই বৈশ্বিক ভয়ংকর সময়ে ভারতে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি মানুষ অভুক্ত থাকছে। আর বর্তমান সংকটে প্রতিদিন এই সংখ্যা কেবল বাড়ছে। বিদ্যা ভেবেছেন, লকডাউনে এই মানুষগুলো কী খাবে, সেই কথা।

বিদ্যা বালান বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে “মুম্বাই রোটি ব্যাংক” বিনা মূল্যে খাওয়াচ্ছে অভুক্ত দরিদ্র মানুষকে। আমরা জানি, অনেক দিনমজুর, মুদি দোকানদার, কায়িক শ্রমজীবীর উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে তাঁদের খাওয়াও।’

বিদ্যা বালান । ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
বিদ্যা বালান । ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

বিদ্যা মুম্বাইয়ের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার শ্রীবান্ধবের মহৎ উদ্যোগের কথা জানান। তিনিই মুম্বাই রোটি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। এই উদ্যোগের অধীনে খাবার, অর্থ সংগ্রহ করে এই ব্যাংককে দান করার জন্য অনুরোধ করেন বিদ্যা। বিদ্যা আরও জানান, এই ফুড ব্যাংক প্রতিদিন মুম্বাই শহরের পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষকে তিন বেলা খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আপনারা দয়া করে এই কঠিন সময়ে না খেয়ে থাকা মানুষদের পাশে থাকুন। পুরো বিশ্ব যখন সংকটপূর্ণ সময় পার করছে, তখন মুম্বাইয়ের মানুষগুলোর জন্য আপনি কী করবেন?’ বিদ্যা জানিয়েছেন, আপনি তিনটি কাজ করতে পারেন।

বিদ্যা বালান ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
বিদ্যা বালান ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

১. কোন এলাকায় এ রকম দরিদ্র, অভুক্ত মানুষ পাওয়া যাবে, সেই খোঁজ জানানোর জন্য ঠিকানা দেন বিদ্যা। এই খাবারের ভ্যান পৌঁছে যাবে ওই ঠিকানায়। এলাকার অভুক্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে খাবার।

২. এই ব্যাংকের জন্য কেউ চাল, ডাল, আটা, তেল বা অন্যান্য সামগ্রী দান করতে পারে। ফোন নম্বর দেওয়া আছে। ওখানে ফোন করে জানালেই ওরা এসে নিয়ে যাবে দ্রব্যসামগ্রী।

৩. দান করতে পারেন নগদ অর্থও। এ জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও জানিয়ে দিয়েছেন বিদ্যা। ওই নম্বরে যে কেউ সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ দান করতে পারে।

বিদ্যা তাঁর বক্তব্য শেষ করেছেন দুটো ইংরেজি শব্দ দিয়ে, ‘প্লিজ ডোনেট’।