বলিউডের পর এবার জেমস বন্ডের তালি

ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২২ মার্চ বিকেল পাঁচটায় পাঁচ মিনিট ধরে তালি দিয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতবাসী। বাদ যাননি বলিউড তারকারা। তাঁরাও পরিবার নিয়ে ঘণ্টা, শাঁখ, প্লেট, চামচ বাজিয়ে, হাততালি দিয়ে আওয়াজ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কাদের জানানো হয়েছে? পৃথিবীর এই দুঃসময়ে যেসব ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনের ব্যক্তি, যাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন করোনা–আক্রান্ত ব্যক্তিদের। এই মানুষেরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে অন্যরা করোনামুক্ত থাকে।

এবার ইংল্যান্ডও তিন দিনের লকডাউনের শুরুতে মানুষকে শক্তি আর সাহস জোগাতে, সেই সঙ্গে চিকিৎসকসহ সেবাদানকারীদের ধন্যবাদ জানাতে হাততালি দিলেন। অবশ্য বলিউড তারকাদের মতো অত হইহুল্লোড় হয়নি।

জেমস বন্ড–খ্যাত অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগকেও দেখা গেল বারান্দা থেকে হাততালি দিতে। সঙ্গী ছিলেন জীবনসঙ্গী র‍্যাচেল ভাইস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জেমস বন্ডের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিও টুইট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে।

ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বাদ যায়নি ব্যাকহাম পরিবার। ডেভিড ব্যাকহাম, ভিক্টোরিয়া ব্যাকহাম লকডাউনে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁরাও হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন দেশের সেই সব মানুষকে, যাঁরা করোনার চেইন ভাঙতে যুদ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত। সেই সন্ধ্যায় আরও তালি দিয়েছেন টেলিভিশন প্রযোজক ফিলিপ স্কফিল্ড, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেমা কলিন্স, সংগীতশিল্পী র‍্যাচেল হিউমসসহ আরও অনেকে।

এ ছাড়া ড্যানিয়েল ক্রেগ অভিনীত সর্বশেষ বন্ড সিরিজের ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’–এর মুক্তি পিছিয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরের ১২ তারিখে মুক্তি পাবে যুক্তরাজ্যে। আর ২৫ নভেম্বর মুক্তি পাবে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সিনেমার অন্যতম অভিনয়শিল্পী বেন হুইশো, ররি কিনিয়ার ও অভিনেত্রী নাওমি হ্যারিসকেও তালি দিতে দেখা গেছে ওই সন্ধ্যায়। এই আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্ল্যাপ ফর আওয়ার কেয়ারার্স’। অর্থাৎ বিপদে আমাদের যাঁরা সাহায্য করছেন, এই তালি তাঁদের জন্য।

ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ভারতীয় ও ব্রিটিশদের আগে ইতালীয়রা লকডাউনের প্রতি বিকেলে বারান্দায়, ছাদে গান গেয়ে ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসছেন। এই পদ্ধতি অনুপ্রাণিত করেছে স্পেন ও ফ্রান্সকেও।

করোনায় গৃহবন্দী দিনগুলোতে মানুষকে উদ্দীপ্ত করতে, শক্তি আর সাহস জোগাতে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামাজিক যোগাযোগ করতে এই পদ্ধতি বেশ কাজে দিচ্ছে।