'দুঃসময় কেটে গেলে আমরা আরও ভালো মানুষ হব'

আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। করোনার সময়ে ‘লকডাউন’ বলিউড তারকা আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলির জীবনে নেমে এসেছে আশীর্বাদ হয়ে। তাই আনুশকা বিরাট আর তাঁদের পোষ্য কুকুরের সঙ্গে তোলা দারুণ একটা ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনের শুরুটা করেছেন এ রকম, ‘প্রতিটি ঘন কালো মেঘেরই একটা উজ্জ্বল দিক আছে। অনেক দিক থেকে মনে হতে পারে একটা জঘন্য, বীভৎস সময় পার করছি আমরা। কিন্তু সময়টা আমাদের জন্য এসেছে গুরু হয়ে, যে শেখাচ্ছে, জীবনের জন্য আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী?’

আনুশকা জানান, তিনি ও তাঁর জীবনসঙ্গী দুজনেই চূড়ান্ত ব্যস্ত। তাই তাঁরা কখনোই এ রকম নিরবচ্ছিন্ন একান্ত সময় উপভোগ করেননি। সব সময় ভেবে এসেছেন খাবার, পানি, মাথার ওপরে ছাদ—এসবই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর গুরুত্বপূর্ণ নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্য। কিন্তু এই সময় আনুশকাকে শিখিয়েছে, সবকিছুর ওপর গুরুত্বপূর্ণ, সময় করে জীবনে যা কিছু পেয়েছেন, সেগুলোর জন্য মাথা নিচু করে হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা। এটাই সব অনুভূতির মৌলিক অনুভূতি।

আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অনুশকা লিখেছেন, ‘সময় যে এত দামি, তা আগে বুঝিনি। সময়গুলো যে এভাবেও কাটানো যায়, তা আগে ভাবিনি। এই কঠিন সময় আমাদের শেখাল, পরিবারকে সময় দেওয়া কতটা জরুরি। বোকা বোকা সময় কত দরকারি। পেশাগত কাজের চেয়েও পরিবারের সঙ্গে হালকা মেজাজে সময় কাটানো, ছোট ছোট বিষয় নিয়ে গল্প, হাসি ঠাট্টা করা বেশি জরুরি। এগুলোই জীবনের সারমর্ম।’

লম্বা সেই স্ট্যাটাসের শেষটা করেছেন এভাবে, ‘আমি জীবনে খুবই আশীর্বাদধন্য। এর চেয়ে বেশি আর কীই–বা চাওয়ার থাকতে পারে? পৃথিবীর এই দুঃসময় যাঁদের ভোগাচ্ছে, আমি তাঁদের প্রতি অত্যন্ত সমব্যথী। আশা করি, দুঃসময় কেটে গেলে আমরা আরও ভালো মানুষের মতো আচরণ করব। আমরা সময়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত এই শিক্ষা মহাকালব্যাপী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, মহাকাল পর্যন্ত বয়ে নিয়ে যাব।’

আনুশকা শর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আনুশকা শর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম