এই বোনই কঙ্গনার সর্বনাশ করবে

রাঙ্গোলি চণ্ডাল ও কঙ্গনা রনৌত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
রাঙ্গোলি চণ্ডাল ও কঙ্গনা রনৌত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বলিউড তারকা কঙ্গোনা রনৌতের বোন ও ব্যবস্থাপক রাঙ্গোলি চণ্ডাল বলিউড তারকাদের জড়িয়ে নানান কথা বলে সব সময় আলোচনায় থাকতে ভালোবাসেন। নেটিজেনরা মোটেও পছন্দ করেন না রাঙ্গোলিকে। তাঁদের মতে, ‘রাঙ্গোলির কথাবার্তা হয় না’। কেবল নেতিবাচকতা ছড়াতে, মানুষের পিছে লাগতে কী ধরনের ‘উল্টোপাল্টা প্রলাপ’ বকতে পারে, তার আদর্শ উদাহরণ নাকি রাঙ্গোলি। সম্প্রতি আরও একবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠল তাঁকে নিয়ে দুয়োধ্বনি।

হৃতিক রোশনের সঙ্গে নিজের পুরোনো একটি ছবি খুঁজে পেয়েছেন রাঙ্গোলি। সেটি টুইট করে টিপ্পনী কেটে লিখেছেন, ‘এই দেখুন, সারা দিন ব্যয় করত আমাকে নানা কথা, কাজে পটাতে, যাতে আমার বোনের “গুড বুকে” আসতে পারে। আর এখন ভাবটা এমন যে “হাম আপকে হ্যায় কৌন”?’ রাঙ্গোলি আরও লেখেন, ‘বাপের টাকায় ফুটানি করা আর তারকা হওয়া স্বজনপ্রীতির ধারক ও বাহকেরা কীভাবে মাপবে কঙ্গনার মতো নিজের যোগ্যতায় বলিউডের রানি হিসেবে স্থান করে নেওয়া মানুষদের উচ্চতা?’

কঙ্গনা রনৌত ও রাঙ্গোলি চণ্ডাল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কঙ্গনা রনৌত ও রাঙ্গোলি চণ্ডাল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এক টুইটার ব্যবহারকারী রাঙ্গোলির ওই টুইট শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কঙ্গনাকে ডোবানোর জন্য একা রাঙ্গোলিই যথেষ্ট। মানুষের পেছনে লাগার তাঁর একাগ্রতা, প্রচেষ্টা দেখে আশ্চর্য হই। কঙ্গোনা নিজেও এসব ভুলে অনেকটা সামনে এগিয়েছেন। হৃতিক তো শতভাগ ভদ্রলোক। এসব নিয়ে কোনো দিন কোনো কথাই বলেননি। আর তিনি এখনো পুরোনো ঘাস জাবর কেটে যাচ্ছেন। বিশ্বের এই দুঃসময়ে এবার অন্তত থামুন।’ এখানেই থামেননি ওই টুইটার ব্যবহারকারী। কঙ্গনার বোন পরিচয়ের বাইরে নিজের অস্তিত্ব তৈরি আর কিছু ভালো কাজ করতেও উপদেশ দেন তিনি।

আরেকজন লিখেছেন, ‘হৃতিক নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। তাঁর বাবাও এখন রাকেশ রোশন হিসেবে কম পরিচিত, “হৃতিকের বাবা” হিসেবেই পরিচিত বেশি। হৃতিক একজন কিংবদন্তির নাম। আর আপনার মতো বোনই কঙ্গনার সর্বনাশ করবে। আর কাউকে লাগবে না।’

অন্যদিকে হৃতিকের এখন বৃহস্পতি তুঙ্গে। ক্যারিয়ার আর ব্যক্তিগত জীবন, সবখানেই চূড়ান্ত ভালো সময় যাচ্ছে তাঁর। করোনার দিনগুলোতে সাবেক স্ত্রী সুজান খানও উঠে এসেছেন তাঁর বাড়িতে। সম্প্রতি ভারতের ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করতে ‘সেলফ কনফিডেন্স’ অধ্যায়ে লেখা হয়েছে হৃতিকের জীবনী।