করোনায় মানসিকভাবে শক্ত থাকতে বললেন বিপাশা

বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি-সংগৃহীত
বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি-সংগৃহীত

চার মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আছেন বিপাশা হায়াত। এদিকে অভিনেতা -নির্মাতা স্বামী তৌকির আহমেদ মনে মনে ঠিক করেছিলেন, গেল ২৩ মার্চ বিপাশাকে তাঁর এবারের জন্মদিনে নিউইয়র্কে গিয়ে চমকে দেবেন। কিন্তু তা আর হয়নি। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে আর যাওয়া হয়নি তাঁর।

অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত এ সময় নিউইয়র্কে আছেন। দু দেশে কাটছে তাঁর পারিবারিক জীবন। তৌকীরকেও ফোন দিলে জানালেন একই কথা। ব্রুকলিনে থাকা বিপাশা হায়াত সারাক্ষণ সন্তান ও তৌকীরের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে আছেন।

বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি-সংগৃহীত
বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি-সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে এখনকার সময় কাটছে তা জানতে চাইলে বিপাশা বলেন, ‘আমি ঘরকুনো মানুষ। এই সময়টিতে নিজেকে নানা সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি। আমি আজ যে পরিস্থিতির মুখোমুখি, পুরো পৃথিবী একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আমি যেহেতু একা, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যা যা করণীয়, তা করছি। আমার খাবার যেন ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করছি, ইমিউন সিস্টেম ঠিক রাখবার জন্য।এক্সারসাইজ করি। গান শুনি। গান আমাকে মানসিকভাবে শক্তি দেয়। ভিন্নভাবে ভাবতে হচ্ছে সবাইকেই। ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছি। খবর খুব কম দেখছি। পড়ার চেষ্টা করছি বেশি। মানবসভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে যা কিছু জানা নেই, তাই জানার চেষ্টা করছি। কবিতা পড়ছি। তথ্যচিত্র দেখছি। ছবিও আঁকছি নিয়মিতভাবে। এভাবেই আমার সময় কেটে যাচ্ছে।’

বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি-সংগৃহীত
বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি-সংগৃহীত

এসবের বাইরে বাংলাদেশে থাকা পরিবার, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবার সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলছেন বিপাশা হায়াত। বললেন, ‌মা-বাবার জন্য খুব চিন্তা হয় । তারাও দুশ্চিন্তা করেন।পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বন্ধু, পুরো পৃথিবীর মানুষের জন্যই ভীষণ ভাবনা হয়। বাংলাদেশের মানুষ যেন এই দুঃসময় শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে পারে - এই প্রার্থণা করি। আমরা যেন সবার প্রতি সবাই আরও বেশি সহানুভূতিশীল হই এই দুঃসময়ে।’