ঋতুপর্ণকে উৎসর্গ করে সেলিনার ফেরা

সেলিনা জেটলির নতুন ছবির নাম ‘সিজনস গ্রিটিংস’। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সেলিনা জেটলির নতুন ছবির নাম ‘সিজনস গ্রিটিংস’। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সেলিনা জেটলিকে ভুলে গেলে চলবে না। হঠাৎ করে অন্তরালে চলে গেলেই তাঁকে ভুলে যেতে হবে! জীবনের নানা বাঁক ঘুরে তিনি আবারও ফিরছেন পর্দায়। তাঁকে অভিবাদন জানাতেই হবে, কেননা, বলিউড এমন ব্যতিক্রম আবেদনময়ী নায়িকা কমই পেয়েছে। সুপারহিট ছবি নেই বললেও যার ক্যারিয়ারে রয়েছে ‘নো এন্ট্রি’, ‘গোলমাল রিটার্নস’, ‘জাওয়ানি দিউয়ানি’র মতো অধ্যায়। এই করোনার দিনে সেলিনা ফিরছেন, তবে প্রেক্ষাগৃহে নয়। গৃহে বসে অনলাইনে দেখা যাবে তাঁর নতুন সিনেমা।

সেলিনার নতুন ছবির নাম ‘সিজনস গ্রিটিংস’। সেটি মুক্তির জন্য আর শুক্রবারের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। আসছে বুধবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে দেখা যাবে ছবিটি। রূপান্তরকামী মানুষের গল্প নিয়ে এ ছবি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রশংসিত বাঙালি চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষকে। রাম কামাল মুখোপাধ্যায়ের এ ছবিতে অভিনয় করেছেন লিলেতি দুবেই, শিরি ঘটক ও আজহার খান।

তিন ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে সুখে ঘরকন্না করছেন ইউরোপে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তিন ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে সুখে ঘরকন্না করছেন ইউরোপে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাটি নিয়ে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে সেলিনা দিয়েছেন স্মৃতিকাতর এক বিবৃতি। জানিয়েছেন, বলিউডে অনুপস্থিত থাকলেও পারিবারিক জীবনে নানা চড়াই–উতরাই পাড়ি দিয়ে তাঁকে ফিরতে হয়েছে। সেসবের মধ্যে আছে বিয়ে, সংসার, মা হওয়া, মা-বাবাকে হারানো। সব মিলিয়ে তাঁর প্রাপ্তি ও বিসর্জনের খাতা হয়ে উঠেছে সমৃদ্ধ।

নিজের নতুন ছবির পোস্টার শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘২০১১ সালে যখন নিজের শেষ ছবিটার কাজ করছিলাম, তখন ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি যে এ রকম একটা সময়ে আবার আমাকে পর্দায় ফিরতে হবে, যখন একটা ভাইরাস সিনেমার মতো করে পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। অভিনন্দন জানানোর জন্য মা–বাবাও বেঁচে নেই, যাঁরা সব সময় সেটা করে এসেছেন। ইউরোপে সংসার পেতেছি। নতুন ছবির পোস্টারটি যখন তৈরি হচ্ছে, তখন আমি তিনটি ফুটফুটে ছেলের মা। এ এমন একটা সময়, যখন ভারত তার সংবিধান থেকে ৩৭৭ ধারা তুলে দিয়ে সমকামীদের স্বাধীন জীবনের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমারও সৌভাগ্য হয়েছে একজন রূপান্তরকামী মানুষের সঙ্গে অভিনয়ের।’

সেলিনা জেটলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সেলিনা জেটলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তিনি লিখেছেন, ‘জীবনে পথ চলতে চলতেই শিখেছি, জীবন অনিশ্চিত। আমাদের অবশ্যই আগামীকালের জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। নিজের সেরা কাজটা আজই করে ফেলা উচিত। আমাদের এই ছবির ক্ষেত্রে বলতে চাই, শীতের জড়তায় বসন্তের আনন্দ দেবে এই ছবি। এ লকডাউনে আপনাদের যে বিনোদন দরকার, আমাদের এই ছবি আপনাদের সেটা দেবে। বাড়িতে বসে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করুন ছবিটি।’

বলিউডে সেলিনার শেষ কাজ ছিল ২০১১ সালের ছবি ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। সেখানে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন অক্ষয় কুমার, ইরফান খান, সুনীল শেঠি, সোনম কাপুর, ববি দেওল ও রিমি সেন। দুবাইয়ের ব্যবসায়ী পিটার হাগকে বিয়ে করেছেন সেলিনা। পাঁচ বছরের যমজ ছেলে উইন্সটোন ও ভিরাজ ছাড়াও তাঁদের আছে আর্থার নামে দুই বছরের আরও একটি ছেলেসন্তান। আর্থারেরও একটি যমজ ভাই ছিল, শমসের। জন্মের কিছুদিন পরই সে মারা যায়। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস