রেস্টুরেন্টে কাজ করে মাসে পেতেন ১১শ রুপি

ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ করণ মেহরা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ করণ মেহরা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ভারতে ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ করণ মেহরা। করণ না বলে অবশ্য তাঁকে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়’ সিরিয়ালের নৈতিক বলাই ভালো। সেই নামেই তিনি অধিক পরিচিত। করোনাকালে স্ত্রী আর ছেলের সঙ্গে লক ডাউনে, কোয়ারেন্টিনে সময়টা মন্দ কাটছে না।

এই কোয়ারেন্টিনে সবাই কম বেশি ঘরে রান্না করছেন। ব্যতিক্রম নন করণও। এইতো শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে পিৎজা বানানোর ভিডিও শেয়ার করলেন। অবশ্য, এই ব্যাপারে করণ আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ। কেন? তারকা জীবনকে অদ্ভুত লাগে করণের। বললেন, ‘মনে হয়, এ এক অন্য জীবন। অথচ অনেক কষ্টে এক গ্রীষ্মে আমি একটা রেস্টুরেন্টে চাকরি জোগাড় করলাম। আমি পিৎজা বানাতাম। সেঁকতাম। চার ঘণ্টা কাজ করে মাসে ১১শ রুপি পেতাম। চার ঘণ্টায় ১০০ পিৎজা কাটতাম।’

ছেলের সঙ্গে কী করছেন সারা দিন? হিন্দুস্তান টাইমসের এমন প্রশ্নের উত্তরে করণ বলেন, 'কভিষ (করণের ৩ বছর বয়সী ছেলে) বোঝে, সময়টা অন্যরকম। আমরাও ওকে বোঝাই। প্রতিদিন বারান্দায় গিয়ে নিয়ম করে আমরা সূর্যাস্ত দেখি। পাশের বাসার বারান্দায় ওর বন্ধুও আসে। ওরা গল্প করে। খেলে। আমরা পাখি দেখি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমাদের সূর্যাস্ত পার্টি হয়। আমরা ওকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি। আমি ভাগ্যবান যে এমন সময়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারছি। সবাই সবাইকে শক্তি জোগাচ্ছি। ইতিবাচক ভাবনায় মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি।'

স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে করণ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে করণ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

করণ জানান, তিনি সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁর পরিচিত বন্ধু বান্ধবদের অনেকেই এই সময়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। এটা আসলেই খুব কঠিন সময়। ২০১৬ সালে করণ বিগ বসের ঘরে ছিলেন। সেখানেও ঘরবাসীরা পুরো পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। তাই সেই সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে বললেন, 'বিগ বসেও অনেকটা একই রকম অবস্থায় ভেতর ছিলাম। সেখানকার শিক্ষা এখন কিছুটা কাজে লাগছে। ঘরের বাইরের সবকিছু চিন্তা থেকে বিদায় জানাতে হবে।

এই সময় ছোটবেলায় কথাও বলেন করণ। বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই জিনিসপত্র ধুয়ে, মুছে পরিষ্কার করে রাখতে ভালোবাসেন। অনেকে বলে, তাঁর নাকি ওসিডি (অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার) আছে। বললেন স্ত্রী নিশারও (নিশা রাওয়াল, করণের স্ত্রী, ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী ও মডেল) তাই। খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে সেও।