মন খারাপের সময় হাসির সিনেমা দেখা উচিত

দিলশাদ নাহার কনা। ছবি–সংগৃহীত
দিলশাদ নাহার কনা। ছবি–সংগৃহীত

করোনার কারণে তিন সপ্তাহ ধরে ঘরে আছেন দিলশাদ নাহার কনা। এই সময়টায় শুনছেন প্রিয় শিল্পীর গান। সিনেমাও দেখছেন। তবে টেলিভিশনে খবরগুলো বেশি দেখা হচ্ছে। ফাঁকে ফাঁকে রান্নাঘরে মাকে সময় দিচ্ছেন। এর মধ্যে একটি নতুন খবর দিলেন কনা। নিজের বাসায় একটি হোম স্টুডিও গড়েছেন। কাজও শুরু করেছেন সেখানে। এসব নিয়ে কথা বললেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে থেকে সময়টা কেমন কাটছে?
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ঘরে ঢুকে গেছি। মানসিক অস্থিরতার মধ্যে আছি। এর আগে দুই দিনের বেশি কখনো ঘরে থাকিনি। অথচ এখন টানা ঘরে আছি। শুরুতে তো ভয়ও পাচ্ছিলাম। এমন ভয় আগে কখনো পাইনি। পৃথিবীজুড়ে এসব কী হচ্ছে! আমরা কোথায় আছি, এই ভয়ংকর পরিস্থিতির কবে শেষ হবে—ভাবতে গেলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তবে কিছুদিন হলো খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছি। সিনেমা দেখছি, গান শুনছি।

কোন ধরনের সিনেমা দেখছেন?
নিজেকে চাপমুক্ত রাখার জন্য একটু কমেডি ধাঁচের সিনেমাগুলো দেখছি। সবশেষ দেখলাম হিন্দি ছবি গুড নিউজ। পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছি। এই মন খারাপের সময় হাসির সিনেমা দেখা উচিত। কিছুটা হলেও মানসিকভাবে চাঙা থাকা যাবে।

আর কোন শিল্পীর গান শুনছেন?
ভালো লাগার গানগুলোই শুনছি। শিল্পীদের মধ্যে আইয়ুব বাচ্চু, অরিজিৎ সিংয়ের গান শুনছি। এ ছাড়া কিছু প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতও শোনা হচ্ছে। এর বাইরে রান্নাঘরের কাজে মাকে সময় দিচ্ছি।

দিলশাদ নাহার কনা। ছবি-সংগৃহীত
দিলশাদ নাহার কনা। ছবি-সংগৃহীত

আপনি নিজে রান্না করেন?
ডিমের ভুনা, মুরগির মাংস, মাছ, নুডলস ও ফ্রায়েড রাইস রান্না করতে পারি। যেহেতু এখন ঘরেই আছি, দু-একটি আইটেম রান্না করি। তবে বেশির ভাগ সময়ই মাকে সহযোগিতা করি।

সময়টা তো স্টেজ শোর। কবে শেষবার স্টেজ শো করেন?
১৭ মার্চ ঢাকার হাতিরঝিলে একটি শো ছিল। এরপর আর করা হয়নি। ৯টি শো বাতিল হয়।

আপনার সঙ্গে যেসব মিউজিশিয়ান বাজান, এই সংকটে তাঁদের কী অবস্থা?
তাঁদের দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। শো থাকলে তাঁদের আয় হয়। তা দিয়েই চলেন তাঁরা। প্রতিটি শো থেকে আমরা শিল্পীরা হয়তো একটু বেশি টাকা পাই। শো না থাকলে আমরা হয়তো আরও কিছুদিন চলতে পারব। কিন্তু মিউজিশিয়ানদের কী হবে? পরিস্থিতি দ্রুত ভালো না হলে অনেক মিউজিশিয়ানের ঈদ হবে না।

দিলশাদ নাহার কনা। ছবি-সংগৃহীত
দিলশাদ নাহার কনা। ছবি-সংগৃহীত

বিষয়টি কেমন?
শীতের শুরু থেকে স্টেজ শোর মৌসুম। প্রথম দিকের শো থেকে যে আয় আসে, বেশির ভাগই খরচ করে ফেলেন সবাই। শেষের দিকের শো থেকে টাকা জমানো হয়। কারণ, রোজার সময় কোনো শো থাকে না। জমানো টাকায় ঈদ করেন তাঁরা। কিন্তু এবার তো রোজার আগে মার্চ-এপ্রিলে কোনো স্টেজ শো করাই গেল না।

ছোট ও বড় পর্দার স্বল্প আয়ের শিল্পী–কলাকুশলীদের জন্য তহবিল তৈরি হচ্ছে। আপনারা শিল্পীরা এসব স্বল্প আয়ের মিউজিশিয়ানের জন্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
ওই সব জায়গায় সমিতির মাধ্যমে করা হচ্ছে। শিল্পীদের কোনো সমিতি নেই। ফলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সবাই মিলে মিউজিশিয়ানদের সহযোগিতা করার সুযোগ নেই। তবে শিল্পীরা হয়তো তাঁদের নিজ নিজ উদ্যোগে নিজের দলের মিউজিশিয়ানদের নিশ্চয়ই সহযোগিতা করছেন। আমার সঙ্গে যাঁরাই বাজান, তাঁদের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করছি।

শুনলাম, হোম স্টুডিও করেছেন?
কখনোই ভাবিনি হোম স্টুডিও করব। এই পরিস্থিতির মধ্যে করতে বাধ্য হলাম। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা কবে শেষ হবে, তা আমরা জানি না। তাই কিছু কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছি।