ত্রাণের সমন্বয় করছেন সেই বাকির দোকানি

মাহফুজ আহমেদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মাহফুজ আহমেদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ঢাকায় বাড়িতে গৃহবন্দী অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ তাঁর জন্মস্থানের অসহায় অসচ্ছল মানুষদের নিয়ে চিন্তিত। তাই নিজের সামর্থ্য মতো সেখানকার মানুষদের মধ্যে যা আছে, তা নিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। আর সেই বিষয়টি সমন্বয় করছেন এলাকার গণ্যমান্য একজন ব্যক্তি, একজন শিক্ষক আর আছেন একজন দোকানি—যাঁর কাছ থেকে মাহফুজ আহমেদ ছোটবেলায় বাকিতে জিনিসপত্র কিনতেন। শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে তেমনটাই জানালেন এই অভিনয়শিল্পী।

অভিনয়শিল্পী মাহফুজ আহমেদ এখন স্থায়ীভাবে ঢাকার বাসিন্দা হলেও ছোটবেলা কেটেছে জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের জগৎপুর গ্রামে। কথা প্রসঙ্গে মাহফুজ বলেন, ‘ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত আমি খোরশেদের দোকান থেকে বাকিতে জিনিসপত্র কিনতাম। তাঁর সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। এবার যখন করোনা সংকট শুরু হয় তখন এলাকার শ্রমজীবী অসহায় ও অসচ্ছল মানুষদের জন্য কিছু করার চিন্তা যখন করলাম, তখন খোরশেদকে দায়িত্ব দিলাম। সে একটা তালিকা তৈরি করল। তারপর সেই তালিকা ধরে সবার কাছে এই সংকট সময়ে উপহার পাঠানোর কাজটি করছে।’

মাহফুজ বলেন, ‘আমি গ্রামের ছেলে। গ্রামের মানুষের দুঃখকষ্ট আমাকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করে। তাই তো আমি শুরুতেই এলাকার কথা ভাবি। আমি মনে করি, এই ধরনের সংকট সব সময় আসে না। এই ধরনের সময়ে মানুষের পাশে থাকতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। আমি হয়তো তেমন একজন ভাগ্যবান, যে কিছু মানুষের পাশে থাকার সুযোগ পেয়েছি। এলাকায় যেতে পারছি না, তবে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছি।’

করোনা নিয়ে চিন্তিত মাহফুজ বলেন, ‘গোটা বিশ্বই আজ এক কঠিন এক সংকটের মধ্যে আছে। আমাদের দেশেও করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ থেকে কীভাবে, কবে মুক্তি পাব, তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউই জানেন না। তবে এটা উপলব্ধি হচ্ছে, করোনার পর পৃথিবী আর আগের মতো থাকবে না। একটা সুন্দর পৃথিবী পাব। একা যে একটা মানুষ ভালো থাকতে পারে না, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই করোনা। পাশের মানুষটিকে নিয়েও ভালো থাকতে হয়।’