'অ্যাভেঞ্জার্স' থেকে 'এক্সট্র্যাকশন'

এক্সট্র্যাকশন ছবির দৃশ্যে ক্রিস হেমসওর্থ
এক্সট্র্যাকশন ছবির দৃশ্যে ক্রিস হেমসওর্থ

দুনিয়াজোড়া মার্ভেল-ভক্তরা উৎফুল্ল নেটফ্লিক্সের এক্সট্র্যাকশন ছবিটি নিয়ে। কারণ, মার্ভেলের অতিমানব ‘থর’ চরিত্রের অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থ। এর প্রযোজক মার্ভেল শিবিরের জনপ্রিয়তম পরিচালক জুটি রুশো ব্রাদার্স। আরও আছেন মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের পরীক্ষিত স্টান্ট ও অ্যাকশন নির্দেশক স্যাম হারগ্রেভ। তবে এক্সট্র্যাকশন ঘিরে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমীদের জন্য উচ্ছ্বাস কয়েক ডিগ্রি বেশি। কারণ, এতে অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন ছবির মতো এক্সট্র্যাকশন-এও বাংলাদেশ অংশের শুটিংয়ের দায়িত্বে ছিল দেশি একটি দল। নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিনেতা তারিক আনাম খান ও তাঁর ছেলে আরিক আনাম খান।

আগামীকাল ২৪ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে এক্সট্র্যাকশন। ছবির গল্পে দেখা যাবে, ভারতের মুম্বাইয়ের এক ডনের অপহৃত ছেলেকে উদ্ধার করতে বাংলাদেশের ঢাকায় গোপন মিশনে আসে এক উদ্ধারকারী। উদ্ধারকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউড অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থ। ছবির পরিচালক স্যাম হারগ্রেভ। এর আগে ৯ এপ্রিল এই ছবিতে অনুবাদ এবং ভয়েস কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকা ওয়াহিদ ইবনে রেজার অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দ পাতায়। এবার আরিক শোনালেন তাঁর অভিজ্ঞতা।

আরিক আনাম খান
আরিক আনাম খান

২০১৪ সালে অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন-এর (২০১৫) কিছু অংশের শুটিং হয় বাংলাদেশে। তাতে আরিক আনাম খান প্রডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন এবং আরিক কাজ করেন প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (আনক্রেডিটেড) হিসেবে। এরপর থেকে তাঁরা নিয়মিত থাইল্যান্ডের ইন্দো-চায়না প্রোডাকশনের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। এবারের এক্সট্র্যাকশন-এর কাজেও বাংলাদেশ থেকে তাঁরা যুক্ত হন ইন্দো-চায়না প্রোডাকশনের মাধ্যমে।

আরিক বলেন, ‘থাইল্যান্ড থেকে আমরা প্রথম জানতে পারি ঢাকা (প্রাথমিক নাম) ছবিটার ব্যাপারে। পরে ছবির নাম বদলে হয়ে যায় এক্সট্র্যাকশন। আমরা তাদের চাহিদার ব্যাপারে জেনে ১৪–১৫ জনের বৃত্তান্ত পাঠাই। তারপর আমার আর বাবার বাদে, বাকি সবারই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। যেহেতু আমি আর বাবা আগেও কাজ করেছি, তাই আমাদের ব্যাপারে তাঁরা আগেই জানতেন।’

এক্সট্র্যাকশন ছবির ট্রেলারে দেখা গেছে ঢাকার সদরঘাটে ধুন্ধুমার মারামারি করছেন ক্রিস আর বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুদা। জানতে চেয়েছিলাম এই শুটিং আদৌ কোথায় হয়েছে? আরিক বলেন, ‘দৃশ্যগুলো ঢাকা থেকে ধারণ করা। তবে ছবির কোনো তারকা বাংলাদেশে আসেননি। এসবে নানা ধরনের নিয়মনীতি আর শৃঙ্খলা মেনে চলে হলিউডে সব বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তাই সব বিবেচনা করে, ওরা বাংলাদেশ থেকে জরুরি দৃশ্যগুলো ধারণ করে নিয়ে গেছে। এরপর ক্রোমা পদ্ধতিতে তারকাদের দৃশ্যগুলো ঢাকার দৃশ্যের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে।’

বাংলাদেশের আটজনের একটি দল নিয়ে ঢাকায় তিন সপ্তাহ ধরে এক্সট্র্যাকশন ছবির প্রস্তুতি নেয়, শুটিং চলে চার িদন। আরিক বলেন, ‘খুব ছোট ব্যাপ্তিতে হলেও এ ধরনের কাজগুলো আমাদের দেশীয় ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো।’