দুর্দিনে এগিয়ে এলেন সেই রানু মণ্ডল

নিজের বাড়ি থেকে ত্রাণ দিচ্ছেন রানু মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত
নিজের বাড়ি থেকে ত্রাণ দিচ্ছেন রানু মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রানু মণ্ডল এখন একজন শিল্পী। কদিন আগেও নদীয়া জেলার রানাঘাট স্টেশনে ভবঘুরে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হতো তাঁকে। সবাই ‘পাগলী’ বলে ডাকলেও সুরেলা কণ্ঠ বদলে দিয়েছে তাঁর ভাগ্য। এখন তিনি বলিউডের একজন কণ্ঠশিল্পী। আর এখন করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ত্রাণ দিচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে পাওয়া গেল রানু মণ্ডলের খবর। জানা গেল, নিজের এলাকায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ত্রাণ দিচ্ছেন তিনি। একটি ছবিতে দেখা যায়, নিজের বাড়ির দরজা থেকে কিছু মানুষকে প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের এক নাগরিকের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গেছে, রানাঘাটের বেশ কিছু দরিদ্র ও গরিব মানুষকে নিজের সাধ্যমতো চাল, ডাল, ডিমসহ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস ত্রাণ হিসেবে দিয়েছেন। রানুর এ কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।

স্টুডিওতে গান করছেন রানু মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত
স্টুডিওতে গান করছেন রানু মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত

রানাঘাট স্টেশনে বসে গান গাইতেন রানু মণ্ডল। সেই গান অনেকের নজর কাড়লেও সেটি ভিডিও করে ফেসবুকে প্রকাশ করেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামের একজন। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে রানু মণ্ডলের গাওয়া লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে রানু মণ্ডলকে নিজের সঙ্গেই রেখেছেন অতীন্দ্র। মুম্বাইসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে নিয়েও যাচ্ছিলেন তিনি। এমনকি রানু মণ্ডলের রোজগারের বিষয়গুলোও দেখাশোনা করছিলেন তিনি।

রানু মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত
রানু মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক মিডিয়া থেকে বলিউডে ঠাঁই হয় রানুর। সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশামিয়ার মাধ্যমে বলিউডের দুটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ ছবির জন্য হিমেশ রেশমিয়ার সুরে ‘তেরি মেরি’ গানটি রেকর্ড করা হয় রানুর কণ্ঠে। প্রথম গানের জন্য রানুকে প্রায় ছয় লাখ রুপি সম্মানী দিয়েছেন হিমেশ রেশমিয়া। এখন পূজা বা গানের অ্যালবামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণও পান রানু।