এক্সট্রাকশনের বাংলা নিয়ে মুম্বাই পুলিশের প্রচারণা

‘এক্সট্রাকশন’ ছবির দৃশ্য নিয়ে মুম্বাই পুলিশের বানানো মিম। ছবি: সংগৃহীত
‘এক্সট্রাকশন’ ছবির দৃশ্য নিয়ে মুম্বাই পুলিশের বানানো মিম। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয়দের কাছে সিনেমা কতটা গুরুত্ব রাখে, তা নতুন করে বলার নেই। করোনার দিনে লকডাউনে মুম্বাই পুলিশ তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অসংখ্য সিনেমার পোস্টার, স্থিরচিত্র ও নাম দিয়ে মিম বানিয়ে ঘরে থাকতে বলেছে। সামাজিক দূরত্ব বুঝিয়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত হলো আলোচিত, সমালোচিত, বিতর্কিত সদ্য মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘এক্সট্রাকশন’। এই ছবিতে ক্রিস হেমসওর্থকে ভারতের এক মাদক মাফিয়া ভাড়া করে। বাংলাদেশের আরেক মাদক মাফিয়া তার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ঢাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে আনার জন্য। ক্রিস তাই বড় পর্দায় টেইলার রেকের বেশে ঢাকায় আসে। মুম্বাইয়ের মাফিয়ার ছেলেকে যে ঢাকার মাফিয়ার লোকজন বাঁচিয়ে রেখেছে, সেই প্রমাণ চায়। দর–কষাকষি করে। বাংলায় বলে, ‘প্রমাণ দাও।’

সেই ছবিটিকেই মুম্বাই পুলিশ মিম বানিয়ে প্রকাশ করেছে তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। আর ক্যাপশনে লিখেছে, ‘আমরা টেইলারের মতো দয়ালু নই। কোনো দর–কষাকষির ভেতর নেই। কারণ ছাড়া বাইরে বের হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। তাই নিতান্তই জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়ার আগে যথোপযুক্ত প্রমাণ সঙ্গে রাখবেন।’ হ্যাশট্যাগে মুম্বাই পুলিশ লিখেছে ‘লকডাউন ম্যান্ডেটস’ আর ইংরেজি অক্ষরে ‘প্রমাণ দাও’। টুইটটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পছন্দ করেছে মুম্বাই পুলিশের এই টুইট।

২৪ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ঢাকার ব্যাকড্রপে তৈরি ‘এক্সট্রাকশন’। ছবিটি নিয়ে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তবে ছবিটি হতাশ করেছে বাংলাদেশি দর্শকদের। বিশেষ করে ঢাকা শহর আর বাংলা ভাষাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভারতেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে ছবিটি। তাই মানুষকে সতর্ক করতে, ঘর থেকে বের না হতে অনুপ্রাণিত করতে মুম্বাই পুলিশ বেছে নিয়েছে এই ছবিটি।