স্তব্ধ হলো লিটল রিচার্ডের কণ্ঠ

লিটল রিচার্ড: ছবি: ফেসবুক
লিটল রিচার্ড: ছবি: ফেসবুক

বিটলস, দ্য রোলিং স্টোনস, বো ডিডলে এভারলি ব্রাদার্স, এলভিস প্রিসলি, এলটন জন, মিক জ্যাগার, ডেভিড বোওয়ি, রড স্টুয়ার্টসহ বিশ্ববিখ্যাত সংগীতশিল্পীরা তাঁকে দিয়ে প্রভাবিত। তিনি রক এন রোলের পথিকৃৎ। তিনি কিংবদন্তি সেই গায়ক ও গীতিকার লিটল রিচার্ড। গতকাল শনিবার ৮৭ বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর কণ্ঠ। রিচার্ডের ছেলে ড্যানি জোনেস পেনিম্যান তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। যদিও মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

লিটল রিচার্ডের বেজ গিটারিস্ট চার্লস গ্লেন জানান, দুই মাস ধরে এই শিল্পী অসুস্থ ছিলেন। সাবেক মুখপাত্র ডিক অ্যালেন নিশ্চিত করেছেন, টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিলে নিজের বাড়িতেই মারা শেষবার নিঃশ্বাস নেন তিনি। তখন পাশে ছিলেন তাঁর ভাই, বোন ও ছেলে ড্যানি পেনিম্যান। বাবার ক্যান্সার ছিল বলে জানিয়েছেন ড্যানি।

লিটল রিচার্ডের মৃত্যুতে বিশ্বসংগীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক ভেসে উঠছে রিচার্ডের মৃত্যুতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিকথা আর শোকগাঁথা। বিটলস ব্যান্ডের ড্রামার রিঙ্গো স্টার লিখেছেন, 'সৃষ্টিকর্তা লিটল রিচার্ডকে সুখে রাখুন। তিনি ছিলেন আমার জীবনের হিরোদের একজন।'

১৯৩২ সালের ৫ ডিসেম্বর সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যের ম্যাকোনে জন্মের পর তার নাম রাখা হয় রিচার্ড ওয়েইন পেনিম্যান। ১২ ভাইবোনের মধ্যে নিজেকে আলাদা করতেই গানকেই বেছে নেন রিচার্ড। প্রাণবন্ত ও উত্তেজনায় ভরপুর পরিবেশনা ও অতিরঞ্জিত পোশাক ছিল লিটল রিচার্ডের বৈশিষ্ট্য। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে জীবনের সবচেয়ে সোনালী সময় কাটিয়েছেন। তখন আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বিভাজন ছিল চূড়ান্তে। তবুও তাঁর গান সব শ্রেণীর, সব বর্ণের শ্রোতারা হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছিলেন।

লিটল রিচার্ড: ছবি: ফেসবুক
লিটল রিচার্ড: ছবি: ফেসবুক

১৯৪৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গান করেছেন রিচার্ড। ট্যাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গান 'গুড গলি মিস মলি', ‌‌'রিপ ইট আপ', 'টুটি ফ্রুটি', 'গুড গলি, মিস মলি', 'লং টল স্যালি' প্রভৃতি। রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেমের প্রথম সদস্যদের একজন ছিলেন।