বদলে যাচ্ছে বলিউডের পরিবেশনা

‘শকুন্তলা’ ও ‘গুলাবো সিতাবো’ ছবির পোস্টার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
‘শকুন্তলা’ ও ‘গুলাবো সিতাবো’ ছবির পোস্টার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিনোদন দুনিয়ার হালচাল বদলে যাচ্ছে রাতারাতি। করোনা মহামারিতে এই বদলে যাওয়ায় লেগেছে নতুন হাওয়া। বন্ধ সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স। মানুষ সবাই ঘরবন্দী। এই সুযোগে ওত পেতে থাকা ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো যেন জেগে উঠেছে সজোরে। তার সাড়াও মিলেছে বেশ। মানুষ এখন সবাই ঘরে। চোখ হাতে রাখা মুঠোফোন কিংবা ঘরের স্মার্ট টিভিতে। ইচ্ছে হলেই ঢুঁ মেরে আসছেন নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, মুবি, ডিজনি প্লাস থেকে।

এক ‘এক্সট্র্যাকশন’–ঝড়েই বোঝা গেছে মানুষ কী পরিমাণ ঝুঁকছে অনলাইনে কনটেন্ট দেখায়। শুধু তাই না, এই সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর হিসাব–নিকাশ দেখলে বোঝা যায়, ওটিটির দৌরাত্ম্য ভেতরে ভেতরে কত!
বলিউডে সম্প্রতি এই হাওয়া লেগেছে ছবি মুক্তিতে। এত দিন কেবল অনলাইনে মুক্তি দেওয়া হতে পারে, এই ছিল শেষ কথা। এবার দুটি ছবির অনলাইন মুক্তির ঘোষণায় যেন নতুন সিনেমা পরিবেশনের ইঙ্গিত পাওয়া গেলে বলিউডে। শুধু তা–ই নয়, সিনেমা হল মালিক, পরিবেশক, আইনক্স ও মাল্টিপ্লেক্স মালিকেরা নড়েচড়ে বসলেন। তৈরি হচ্ছে বিতর্কও। সে যা–ই হোক বলিউড যে কিছুটা হলেও ঝুঁকছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে, সেটা বলা যায়।
সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইম থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সুজিত সরকার পরিচালিত ‘গুলাবো সিতাবো’ ছবিটি আগামী ১২ জুন বিশ্ব উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। আমিতাভ বচ্চন ও আয়ুষ্মান খুরানার মতো দুই তারকা অভিনেতার ছবি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে না। এই খবরে অবশ্য হতাশ চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
এদিকে আরেক তারকাবহুল সিনেমা ‘শকুন্তলা দেবী’ও অ্যামাজনে মুক্তি পাচ্ছে, এমন ঘোষণা এসেছে। ভারতীয় নারী গণিতবিদ ও মানব কম্পিউটারখ্যাত শকুন্তলা দেবীকে নিয়ে জীবনীভিত্তিক ছবিতে শকুন্তলা দেবীর চরিত্রে দেখা যাবে বিদ্যা বালানকে। আছেন যিশু সেনগুপ্ত, সানিয়া মালহোত্রা ও অমিত সাধ।
আরও কিছু ছবির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এগুলো সরাসরি মুক্তি পেতে পারে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। অক্ষয় কুমার ও কিয়ার আদভানির ‘লক্ষ্মী বোম্ব’, জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কারগিল গার্ল’ এই কাতারে আছে।
যদিও সিনেমা হলে মুক্তি না দিয়ে সরাসরি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মুক্তি দেওয়ায় বিতর্ক উঠছে বলিউডে। নাখোশ হচ্ছেন পরিবেশক, সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আইনক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং সিনেমা হল মালিকদের মধ্যে একটা নিজস্ব ব্যবসায়িক সম্পর্কও থাকে। যেখানে উভয় পক্ষই লাভবান হয়। দীর্ঘদিন ধরে এটাই হয়ে এসেছে। আর আজ যখন একে ওপরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার সময় তখন অপর পক্ষ সেই সম্পর্ক থেকে সরে গেলেন।’