তিন পরিচালকের 'ত্রিভুজ', আগামী সপ্তাহে শুটিং

সৈকত নাসির, অনন্য মামুন ও দীপংকর দীপন। ছবি- সংগৃহীত
সৈকত নাসির, অনন্য মামুন ও দীপংকর দীপন। ছবি- সংগৃহীত

সৈকত নাসির, অনন্য মামুন ও দীপংকর দীপন—এ তিনজন একটি পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য ছবি বানাতে যাচ্ছেন। আজ শনিবার দুপুরে ছবির নাম চূড়ান্ত করেছেন। ‘ত্রিভুজ’ নামের এই ছবির শুটিং শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অনন্য মামুন। পবিত্র ঈদুল আযহায় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছেন বলে জানান তিনি।

সৈকত নাসির ‘দেশা: দ্য লিডার’, অনন্য মামুন ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ আর দীপংকর দীপন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবি পরিচালনা করেন আলোচনায় আসেন। এ তিনজন এবার এক হয়েছেন ‘ত্রিভুজ’ বানাতে। গল্প চূড়ান্ত হলেও এখনো অভিনয়শিল্পী কারা থাকবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সিয়াম ও পূজার সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সৈকত জানান, তিন পরিবারের তিনটি গল্প নিয়ে ছবির কাহিনি এগিয়ে যাবে। তিনটি গল্পের একটা যোগসূত্র থাকবে। সৈকত বলেন, ‌‘আমরা কিছুদিন ধরে এই প্রজেক্ট নিয়ে ভাবছিলাম। ফাইনালি লক করতে পেরেছি। আমরা তিনজনই আমাদের মতো করে কাজ করেছি। এবার তিনজনের মেধা একটা ছবির পেছনে কাজে লাগবে। আশা করছি, ভিন্ন ধরনের কিছু দর্শকদের উপহার দিতে পারব।’

শুরুতে ‘ত্রিভুজ’ ছবির নাম রাখা হয়েছিল ‘লকডাউন’। কিন্তু শব্দটা এত বেশি প্রচলিত যে সবাই মিলে ভাবলেন, অন্য নাম হলে ভালো হয়। তখন অনলাইনে মিটিং করে ছবির নাম ‘ত্রিভুজ’ চূড়ান্ত করেন বলে জানান অনন্য মামুন। ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেলিব্রিটি প্রোডাকশন। পরিচালক অনন্য মামুনের উদ্যোগেই ছবিটি তৈরি হতে যাচ্ছে।

ছবির গল্প প্রসঙ্গে অনন্য মামুন বলেন, ‘আমরা করোনার এই সময়ের গল্পই বলব। করোনার সময়ে মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন হয়েছে। সামনে কী হতে পারে। আমরা যা কিছু দেখেছি, সামনে যা কিছু দেখার সম্ভাবনা আছে, তা–ই তুলে ধরার চেষ্টা করব।’

নির্মাতা দীপংকর দীপন জানান, বর্তমার সময়ের গল্পের ছবি হবে এটি। তবে পুরোপুরি করোনাভাইরাসের ছবি নয়। করোনার আগে মানুষের জীবন আর বর্তমান সময়ের মানুষের জীবনকে ধরে এই ছবি।

দীপংকর দীপন বলেন, ‘গত এক মাস আমরা গল্পটি নিয়ে কাজ করেছি। কারণ, গল্প ও কাজের পরিকল্পনা নিয়ে তিনজনের মাথা এক জায়গা আসতে কিছুটা সময় লেগেছে। এখন ছবির বাজেট নিয়ে কাজ করছি আমরা।’ দীপন আরও বলেন, ‘করোনা আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়ে যাচ্ছে। বলতে পারেন, সেই শিক্ষার একটি আমাদের তিনজন একসঙ্গে কাজ করা। পরীক্ষামূলকভাবে কাজটি করতে যাচ্ছি। দেখা যাক কেমন হয়।’

তিনজন আলাদা তিনটি গল্প বলবেন না। একটি গল্পই তিনজন পরিচালনা করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কি না? সৈকত নাসির বলেন, ‘ছবির গল্প নিয়ে আমরা বেশ কয়েক দিন ধরে আলাপ–আলোচনা করছি। সবার সিদ্ধান্তে গল্প ও চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। শুটিংয়ের ক্ষেত্রেও তিনজনে মিলে ঠিক করে নেব, কে কোন দৃশ্যগুলো শুট করার দায়িত্ব নেব। তবে বলতে পারি, দর্শকেরা অসাধারণ একটি গল্প পেতে যাচ্ছে।’

অনন্য মামুন জানালেন, ‘আমাদের ছবিতে গান থাকবে। রোমান্টিক দৃশ্যও থাকবে।’ তবে বর্তমান সময়ের কথা ভেবে সেভাবেই দৃশ্যায়ন করবেন তাঁরা। মামুন বলেন, ‘আগে শুটিংয়ে অনেক বড় ইউনিট যেভাবে থাকত, এখন হয়তো তা রাখা যাবে না। তবে কাজ একদমই পেশাদার হবে। যেভাবে আমরা আগে বড় ক্যামেরায় শুটিং করতাম, সেভাবেই। করোনায় যেসব সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করা উচিত, সেভাবেই করব।’

মামুন এ–ও বলেন, ‘আমার গল্পে দেখা নায়ক-নায়িকা দুই জায়গায় বন্দী আছে। সমসাময়িক ব্যাপার আছে। কিছুদিন আগেও আমরা জানতাম, প্রেম-ভালোবাসা মানে ধরাধরি কিংবা জড়াজড়ি। আমরা অন্য উপায়েও সুন্দর প্রেমের দৃশ্য ধারণ করতে পারি, তা এই ছবির মাধ্যমে দেখাব।’ মামুন জানান, ছবিটি ঈদুল আযহায় সিনেপ্লেক্স ও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। যদি সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স না খোলা হয়, তাহলে ঈদে অ্যাপসে মুক্তি দেওয়া হবে ছবিটি।