নায়ক ভিলেন সবাইকে করোনা টেস্ট করাতে হবে

শুটিং করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব শিল্পীর কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
শুটিং করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব শিল্পীর কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমায় নাচ-গান থাকে। নায়ক-নায়িকার অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকে। কিন্তু এসব করতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। তাই শুটিং শুরুর আগে নায়ক-নায়িকার অবশ্যই করোনা টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। তবেই প্রযোজক-পরিচালকেরা শুরু করতে পারবেন নতুন সিনেমার শুটিং—এমনটাই জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম।

দেশ থেকে এখন লকডাউন পরিস্থিতি উঠে গেছে। অনেক কিছু লকডাউন পরিস্থিতির আগের রূপে ফিরছে। কিছু প্রযোজক-পরিচালক নতুন ছবির পাশাপাশি অর্ধসমাপ্ত ছবির শুটিং করতে চাইছেন। তাই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে চলচ্চিত্রের প্রধান দুই সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি একটি সভার আয়োজন করে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের প্রযোজক সমিতি কার্যালয়ে শুরু হওয়া সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শুটিং শুরুর আগে নায়ক-নায়িকাসহ ইউনিটে থাকা সবাইকে অবশ্যই করোনা টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। সভা থেকে বেরিয়ে প্রথম আলোকে খোরশেদ আলম বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রযোজক-পরিচালকেরা শুটিং, এডিটিং, ডাবিং—সব করতে পারবেন। এসব কাজে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা খুব মুশকিল। তাই সভায় বলা হয়েছে, খুব সংক্ষিপ্ত আকারে প্রোডাকশন ডিজাইন করতে হবে, ইউনিটের লোকজন কমাতে হবে।

নায়ক-নায়িকার অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। ছবি: সংগৃহীত
নায়ক-নায়িকার অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। ছবি: সংগৃহীত

সবার করোনা টেস্ট করে ফলাফল জেনেই শুটিং করতে হবে। এর বাইরেও স্বাস্থ্যবিধিতে যা বলা আছে, সেসব অবশ্যই মানতেই হবে। ছবির শুটিং আরও কয়েক দিন পর শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন কি? এমন প্রশ্নে খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা তো আসলে বলতে পারছি না কবে করোনা বিদায় নেবে? কবে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত হব? তাহলেই হয়তো আমরা অপেক্ষা করতাম এক মাস কিংবা দুই মাস। কিন্তু কেউই তো কিছু বলতে পারছি না।

এভাবে বসে থাকলে কীভাবে কী হবে? সরকার এরই মধ্যে গণপরিবহন, ট্রেনসহ প্রায় সবকিছু খুলে দিয়েছে, সীমিত আকারে হোক আর যা-ই হোক। এদিকে যেসব ছবির কাজ অর্ধেক পথে আটকে আছে, সেসব ছবির প্রযোজক-পরিচালকেরা প্রতিনিয়ত ফোন করছেন। তাঁরা তাঁদের ছবির শুটিং করতে চান। করোনার ভয়ে দিনের পর দিন বসে থাকলে তাঁরাও তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'

পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘এটা কোনো নীতিমালা নয়, আবার উদ্বুদ্ধ করাও নয়। আমরা চাই যাঁরাই শুটিং করুন না কেন, তাঁরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে করেন।’

গতকালের সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন নেতা।

সরকারি ঘোষণার পর গত ১৯ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল সব ধরনের শুটিং।