সাড়ে চার হাজার টাকার চাকুরে সোনু আজ ১৩০ কোটি টাকার মালিক

সোনু সুদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সোনু সুদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহায়ত্ব দেখে প্রাণ কেঁদে উঠেছিল বলিউড তথা দক্ষিণী তারকা সোনু সুদের। তাই তাঁদের দুঃখে ছুটে গেছেন এই অভিনেতা। মুম্বাইসহ বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসায় ফেরানোর জন্য দিনরাত এক করেছেন তিনি। বলিউডের খানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এই তারকা। তবে ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার সোনুর জীবনের শুরুটা ছিল সংগ্রামের। পাড়ি দিয়েছেন অমসৃণ পথ। 

সেই মানুষগুলোর কাছে ৪৭ বছর বয়সী সোনু সুদ দুঃসময়ে সাহায্য নিয়ে আসা দূতের মতো। তাই তাঁদের কাছে করোনাকালে অসহায়, দুস্থ মানুষের জন্য পানির মতো অর্থ ব্যয় করেছেন ‘দাবাং’ খ্যাত এই অভিনেতা। এ ছাড়া আরও নানান ভাবে করোনার সংক্রমণ রুখতে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনু। মুম্বাইতে নিজের বিলাসবহুল হোটেল খুলে দিয়েছেন কোয়ারেন্টিন সেন্টারের জন্য। এবার জেনে নিন, করোনাকালে ত্রাতারূপী এই বলিউড তারকার মোট সম্পত্তির পরিমাণ।

সোনু সুদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সোনু সুদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

প্রায় দুই দশক ধরে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ও বলিউড দুনিয়ায় দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন সোনু। জানা গেছে, প্রায় ১৩০ কোটি রুপির সম্পত্তির মালিক তিনি। তবে শুধু ছবি করেই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেননি সোনু। সিনেমা ছাড়া এই বলিউড অভিনেতা নিয়মিত বিজ্ঞাপন করেন। আয়ের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অভিনয় জগতের বাইরেও পা রেখেছেন সোনু। অভিনয়ের পাশাপাশি হোটেল ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। চেইন হোটেল ব্যবসার মাধ্যমেও ভালো আয় করেন এই তারকা।


পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সোনুর এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অমিতাভ বচ্চন, অজয় দেবগনসহ আরও অনেক বিটাউন তারকা। শ্রমিকদের তাঁদের বাসায় ফেরানোর পাশাপাশি তাঁদের খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি। সোনুর এই অভিনব উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তাঁর মূর্তি গড়ে তোলা হচ্ছে। এমনকি নবজাতকের নামও সোনু রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় ১৩০ কোটি রুপি সম্পত্তির মালিক তিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জানা গেছে, প্রায় ১৩০ কোটি রুপি সম্পত্তির মালিক তিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

তবে ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার সোনুর জীবনের পথ পুরোটাই মসৃণ ছিল না। পাঞ্জাবের মোগা শহরে সোনুর জন্ম ১৯৭৩ সালের ৩০ জুলাই। স্যাক্রেড হার্ট স্কুলের ছাত্র সোনু নাগপুরের যশবন্তরাও চহ্বন কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাস করেন। আরও অনেকের মতো সোনুর জীবনেও সাফল্য এসেছে পরিশ্রমের ধাপ বেয়েই। সোনু ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার আগে কয়েক দিনের জন্য কাজ করেছেন তাঁর বাবার শোরুমেও। মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা সম্বল করে সোনু মুম্বাই গিয়েছিলেন। প্রথম দিকে থাকতেন আরও ছয়জনের সঙ্গে, এক কামরার ফ্ল্যাটে।

খরচ জোটাতে কাজ নিয়েছিলেন বেসরকারি অফিসে। অফিসের কাজে ঘুরতে হতো মুম্বাইয়ের নানা প্রান্তে। বরিভেলি থেকে চার্চগেট যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেনই ছিল তাঁর পরিবহন। প্রতি মাসে বেতন পেতেন সাড়ে চার হাজার টাকা।