মাঝে মাঝে আড়াল হতে হয়

তানিয়া আহমেদ
তানিয়া আহমেদ
>ব্যক্তিগত কাজে আমেরিকায় আছেন মডেল, অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ। মে মাসে দেশে ফেরার কথা থাকলেও এখনো ফেরা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। গতকাল ৫ জুন এই অভিনেত্রীর জন্মদিন ছিল। তাঁর জন্মদিন, দেশে ফেরা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে আটলান্টার লরেন্সভিল থেকে মুঠোফোনে কথা বললেন তিনি।

শুভ জন্মদিন। কীভাবে জন্মদিন উদ্‌যাপন করছেন?

ধন্যবাদ। আগে তো জন্মদিন অনেক আগ্রহ নিয়ে উদ্‌যাপন করতাম। এখন আমার ছেলেরা আবেগী হয়ে আমার জন্মদিন উদ্‌যাপন করে। এবার বিশ্বব্যাপী করোনায় দেশের মানুষের জন্য চিন্তা হচ্ছে। এদিকে আমেরিকার রায়টে একদমই ভিন্ন পরিস্থিতিতে দিনটি উদ্‌যাপন করছি। বাইরে যেতে পারছি না। আন্দোলন সব স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই বাসায় আমার কাজিনরা কিছুটা আয়োজন করেছে। কিন্তু দেশে জন্মদিনে আমার অনেক কাছের মানুষ বাসায় আসে, স্বামী–সন্তানদের নিয়ে মজার একটা সময় কাটে। ওই দিনগুলোকে বড্ড মিস করছি।

জন্মদিনে দূরে থেকে যা অনুভব করছেন?

দূরে থেকে একটা বিষয় খুবই ফিল করছি, সেটা মানুষের ভালোবাসা। দূরে থাকার পর বুঝতে পারছি, কে ভালোবাসে আর কে ভালোবাসে না। আসলে চোখের আড়াল হলেই বোঝা যায়, কে মনে রেখেছে, কে রাখেনি। আবার কারা সবই সময়ই মিস করছে, সেটাও উপলব্ধি করা যায়। এ জন্য মাঝে মাঝে আড়াল হতে হয়। তাহলে নিজের চারপাশটা চেনা যায়।

কীভাবে সময় কাটছে?

একদম ঘরে আছি। বাসায় কাজিন, ভাগ্নে, আমার সন্তান আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলি, নিজেদের কাজ করছি। কিছুটা সময় নেটফ্লিক্সের মুভি দেখি, গান শুনে কাটানোর চেষ্টা করি। একাকী লাগলে জঙ্গল ও হ্রদে যাই। এগুলো আমার বাসার একদম পাশেই  আছে। মন খারাপ লাগলে বাচ্চাদের ছবি দেখে হাসার চেষ্টা করি। ফেসবুকে বাচ্চাদের ছবি চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। ইনবক্সে অসংখ্য বাচ্চার ছবি পেয়েছি। সেগুলো প্রতিদিন দেখি।

তার মানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি সক্রিয়। দূর থেকে আপনার পর্যবেক্ষণটা বলবেন?

দেখছি মানুষ নিজেরা সচেতন হয়ে অন্যকে সচেতন করছেন। এই ফেসবুকেই দেখতে পাচ্ছি, অনেকেই নিম্নবিত্তদের সহায়তার এগিয়ে আসছেন। এটা তো খুবই ভালো। তবে এটা মনে রাখতে হবে, আমাদের মধ্যবিত্তরা সব সময় অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত থাকেন। এই করোনার সময়ে তাঁদের অনেকেই খুব কষ্টে আছেন। তাঁরা নিজেদের অবস্থা কাউকে জানতে দিতে চান না। মধ্যবিত্তদের আত্মসম্ভম, আত্মমর্যাদা অনেক বেশি। তাঁরা না খেয়ে মারা গেলেও আত্মমর্যাদার জায়গা থেকে কাউকে কিছু বলবেন না। মধ্যবিত্তরা খুবই সৎ মানুষ হন। এই সৎ মানুষগুলোর জন্য কিছু করা উচিত। আমরা একটা গ্রুপ চেষ্টা করছি কিছু করার। আমাদের সরকারও অনেকের সাহায্যে এগিয়ে আসছে। তারপরও আমি সরকারকেও হাত জোড় করে বলব, মধ্যবিত্তদের জন্য কিছু করবেন।