লকডাউনেও থেমে নেই সবিতা

সবিতা ধুলিপালা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সবিতা ধুলিপালা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০১৩ সালে 'মিস ইন্ডিয়া' প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন। তারপর বেশ কিছু নামী ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা হয়ে নজরে আসেন পরিচালকদের। ২০১৬ সালে অনুরাগ কশ্যপের রামণ রাঘব ছবিতে মাদকাসক্ত, নারীবিদ্বেষী পুলিশ অফিসার ভিকি কৌশলের প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করে খাতা খুলেছেন বলিউডের বড় পর্দায়।

২০১৯ সালে 'মেড ইন হেভেন' ও 'বার্ড অব ব্লাড' ওয়েব সিরিজেও দেখা দিয়েছেন। ২০২০ সালে দেখা দিয়েছেন ঘোস্ট স্টোরিজ-এ। ধীরে ধীরে ব্যস্ততা বাড়ছে সবিতার। এবার তাঁকে দেখা যাবে মালয়ালাম কুরুপ, তেলেগু ও হিন্দি মেজর আর মনি রত্নমের পনিয়িন সেলভান-এ। সঙ্গে ফটোশুট তো আছেই, এমনকি লকডাউনেও থেমে নেই। সম্প্রতি ডেকান ক্রনিকলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে এল লেখালেখি, নাচ আর মডেলিংয়ের পাশাপাশি হাঁটি হাঁটি পা পা করে বলিউডে জায়গা করে নেওয়ার কথাও।

সবিতা ধুলিপালা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সবিতা ধুলিপালা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২৭ বছর বয়সী সবিতা বলেন, 'আমি গল্প বলতে ভালোবাসি। আগে লেখালেখি আর নাচের মাধ্যমে বলতাম, এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অভিনয়। আর চরিত্রের ব্যাপারে আমি খুবই খুঁতখুঁতে। যেসব চরিত্রের গায়ে অনেক পরত, নানা রং, সেগুলোই আমাকে বেশি টানে। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই আমি কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে আমার পারফরম্যান্সের জন্য ডাক পেয়েছি। আমি একেবারে প্রথম ছবি থেকেই মান নিয়ে কোনো আপস করিনি। আমি হিন্দি আর আমার নিজের মাতৃভাষা তেলেগু জানি। আর দক্ষিণ ভারতেও দুর্দান্ত সব গল্প আছে। তাই অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার দুয়ার বেশ বিস্তৃত। আমি ঝুঁকি নিতে ভয় পাই না। অন্ধ্র প্রদেশের তেনালির বিশাখাপট্টনমে আমার বড় হওয়া। আর আমার সত্তার একটা বড় অংশ আমার সংস্কৃতি। আমি আমার সাধারণ ব্রাহ্মণ তেলেগু পরিবার, পারিবারিক শিক্ষা আর শিকড়কে ভালোবাসি। কারণ, এগুলোই আমি। সাধারণ হয়েই আমি অসাধারণ।'