লোকার্নোতে বাংলাদেশের তাসমিয়াহ ও সাদিয়া

সাদিয়া খালিদ ও তাসমিয়াহ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত।
সাদিয়া খালিদ ও তাসমিয়াহ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওপেন ডোরস লকডাউনের বৈশ্বিক বাস্তবতায় প্রথমবারের মতো রিমোট কনসালট্যান্সির আওতায় যুক্ত করেছে চিত্রনাট্য নিয়ে পরামর্শ বিভাগ। আর সেখানে প্রথমবারই সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের নির্মাতা তাসমিয়াহ আফরিন এবং চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালেদ। দুই বছর ধরে তাঁরা যৌথভাবে লিখছেন ‘কাক’ নামের চিত্রনাট্যটি। আর এই চিত্রনাট্য নিয়েই ১৫ জুন শুরু হয়েছে জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন কর্মশালা। চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। কর্মশালাটি পরিচালনা করছেন ‘সারাব্যান্ড’, ‘মিলিয়ন ডলার বেবি’, ‘দ্য সি ইনসাইড’, ‘দ্য ইন্টারপ্রেটার’ ছবির সঙ্গে কাজ করা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রনাট্যকার মিগায়েল মাচালস্কি।

বছরে তিনবার ওপেন ডোরসের রিমোট কনসালট্যান্সির জন্য আবেদন করা যাবে। এ বছর বাংলাদেশের চিত্রনাট্যকারদের জন্য আরও দুবার এই সুযোগ আছে। চিত্রনাট্য ছাড়াও যৌথ প্রযোজনা এবং অর্থায়নকৌশল, চলচ্চিত্র সম্পাদনা, আন্তর্জাতিক বিতরণকৌশল এবং আইনি দিক ও চুক্তি—এই পাঁচ আলাদা বিষয়ে কনসালট্যান্সির জন্য পরিচালক ও প্রযোজকেরা আবেদন করতে পারেন। লোকার্নো ওপেন ডোরস কনসালট্যান্সির পরের আসরের জন্য আবেদন করা যাবে ২২ থেকে ২৪ জুন ২০২০। এশিয়ার ১৬টি দেশের চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকদের আবেদন করা চলচ্চিত্র প্রকল্পগুলো থেকে শ্রেষ্ঠত্ব বিচারে বাছাই করা চলচ্চিত্র প্রকল্পগুলো এই কনসালট্যান্সি গ্রহণের সুযোগ পায়।

গত শতাব্দীর আশির দশকের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় ঢাকার এক যুবকের অতীত ও বর্তমান সময়ের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ‘কাক’ নামক চিত্রনাট্য। শহরের কাকদের উপস্থিতি যুবকের নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সংকট তৈরি করে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন তাসমিয়াহ আফরিন। চিত্রনাট্যের কাজ শেষ হলে তাঁরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রযোজক খুঁজবেন। এই গল্প নিয়ে পাঁচ-ছয় বছর ভেবেছেন নির্মাতা তাসমিয়াহ। তারপর তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন সাদিয়া। দুজনে মিলে একটা প্রাথমিক চিত্রনাট্যকে দুই বছর ধরে মোটামুটি একটা পূর্ণাঙ্গ আকৃতি দেন। এই চিত্রনাট্য ও অনলাইন কনসালট্যান্সির বিষয়ে তাসমিয়াহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চান না জানিয়ে বললেন, ‘এটাই আমার চিত্রনাট্য নিয়ে প্রথম কোনো কনসালট্যান্সি। আর মিখায়েল প্রতিটা চরিত্র নিয়ে এত বিস্তারিত, পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রশ্ন করে যে আমাদের নতুন করে ভাবতে হয়। কর্মশালাটি ভালো যাচ্ছে, আমাদের প্রজেক্টের জন্য খুবই সহায়ক হবে।’