সাফার আলনায় এত জামা!

ভিডিও ব্লগার হয়ে গেছেন সাফা কবির। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ভিডিও ব্লগার হয়ে গেছেন সাফা কবির। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আলমারি থেকে একটা করে কাপড় নামাচ্ছেন, আর সেটা পরে হাঁটছেন ছাদ-বারান্দায়। যেন সেটা বাড়ির ছাদ নয়, র‍্যাম্প। ঘরে বসে এভাবেই ভক্তদের জন্য চমৎকার সব ভিডিও তৈরি করছেন টেলিভিশন তারকা সাফা কবির। দর্শকেরাও অবাক হয়ে দেখছেন, সাফার আলনায় এত জামা!

শুটিংয়ে যাচ্ছেন না অভিনেত্রী সাফা কবির। এ নিয়ে শঙ্কিত নির্মাতারা। কারণ ভক্ত, চ্যানেল ও প্রযোজকদের কাছে তাঁর চাহিদা অনেক। তবু করোনা মহামারির কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাফা কবির। তাঁর সহশিল্পীদের অনেকে ইতিমধ্যে চলে গেছেন শুটিংয়ে। সেখানে এখনো স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে মানা হচ্ছে না। সহকর্মীদের কাছ থেকে এ তথ্য পেয়ে রীতিমতো মর্মাহত এই তারকা। ফলে নিজেও যেতে পারছেন না শুটিংয়ে। এ নিয়ে জানতে চাইলে সাফা বলেন, ‘বাড়িতে আমি ও আমার মা থাকি। প্রায় তিন মাস বাড়িতে সময় কাটিয়েছি। এখন শুটিংয়ে যেতে হলে অবশ্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো এত দিন ঘরে আটকে থাকার কী মানে হয়?’

ঘরে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন জানতে চাইলে সাফা বলেন, ইউটিউবে নিজের চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানাচ্ছেন তিনি। যদিও এটা তাঁর শখ করে করা একটি কাজ। শুটিংয়ে ফিরলে এসব আর করার সময় পাবেন না। তা ছাড়া এটি কেবল আনন্দ পাওয়ার জন্যই করছেন সাফা। তাঁর ইউটিউব চ্যানেল অনুসরণ করেন ১ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ। তাঁদের জন্য ভিডিও ব্লগ তৈরি করেন সাফা কবির। কী থাকে সেসব ব্লগে? গত ২০ জুন একটি ব্লগে নিজের আলনা থেকে প্রিয় কাপড়গুলো বের করে ভক্তদের দেখিয়েছেন তিনি। শুধু তা–ই না, কাপড়গুলো পরে নিজের ছাদকে র‍্যাম্প বানিয়ে হেঁটেও দেখিয়েছেন তিনি। এ কাপড়গুলোর মধ্যে ছিল এক ভক্তের উপহার দেওয়া একটি জামদানি শাড়িও। ভিডিওটি এ পর্যন্ত দেখেছেন প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার দর্শক।

টেলিভিশন নাটকে ফিরতে চান সাফা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
টেলিভিশন নাটকে ফিরতে চান সাফা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ টিভি নাটক করে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন সাফা কবির। পরে বহু খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটক, টেলিছবি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। বিজ্ঞাপনচিত্র ও গানের মডেলও হয়েছেন। টেলিভিশন নাটকে সর্বোচ্চ চাহিদা ও সম্মানী নেওয়া তারকাদের তালিকায় রয়েছে তাঁর নামও। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার মানবিক আবেদন জানানো হয় দশ তারকাকে। তাঁদের মধ্যে সাফাও অন্যতম। সাফা জানিয়েছেন, গত তিন মাস কাজ না করায় রোজগার বন্ধ হয়ে আছে তাঁরও। শিগগিরই কাজে ফিরতে চান তিনি। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নিরাপত্তাসহ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করলেই তিনি ফিরবেন।