ছেলেমেয়ে দুটো কি ফিরে পাবে তাদের বাবাকে?

‘বাহার’ ধারাবাহিকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘বাহার’ ধারাবাহিকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

পোশাক কারখানায় চাকরি করে বাহার। স্বামী নিরুদ্দেশ। দুই সন্তান নিসান ও দোরুককে নিয়ে সংসার চালাতে হাড়াভাঙা খাটুনি খাটতে হয় তাকে। টানাপোড়েনের সংসার। তবু বাহার আশা নিয়ে থাকে দুই সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে। তাদের সুন্দরভাবে বড় করে তোলাই হয়ে দাঁড়ায় তার জীবনের লক্ষ্য, আবার চ্যালেঞ্জও।

বাহার যেখানে থাকে সেই বাড়িওয়ালার ছেলে আরিফের সঙ্গে তার সখ্য বাড়ে। বাহারের দুই সন্তানও আরিফকে পছন্দ করে। তবে কি তারা প্রেমে পড়েছে? পোশাক কারখানার তার দুই সহকর্মীও বাহারকে বেশ সাহায্য করে। এমন করেই যাচ্ছে দিন। হঠাৎ একদিন সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসে। বাহার জানতে পারে সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। বাহার থাকা শুরু করে তার মায়ের কাছে। কিন্তু সৎবোন শিরিনের হিংসুটে আচরণ এবং মায়ের অবহেলায় বড় কষ্ট পায় সে। চলে আসে আগের ঠিকানায়। এদিকে জানা যায়, বাহারের স্বামী সার্প বেঁচে আছে। তবে সে নিজের পরিচয় পরিবর্তন করে আল্প নামে ফিরে এসেছে। বাহার চমকে যায়। তার দুই সন্তান কি ফিরে পাবে তাদের বাবাকে?

‘বাহার’ ধারাবাহিকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘বাহার’ ধারাবাহিকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

তুর্কি ধারাবাহিক ‘বাহার’–এর গল্পটি এমন। দীপ্ত টিভি এটি বাংলায় ডাবিং করে দেখাবে ১১ জুলাই থেকে। সম্প্রতি তারা অনলাইনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ধারাবাহিকটি প্রচারিত হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায়। দীপ্ত টিভি সূত্র জানিয়েছে, মূলত একজন নারীর সন্তান নিয়ে সমাজে টিকে থাকার গল্পই হচ্ছে এই ধারাবাহিক। আছে প্রেম ও সুখ–দুঃখের গল্প। তুরস্কের সামাজিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হলেও পরোক্ষভাবে সব নারীর সংগ্রামের সঙ্গেই মিলে যায় এই ধারাবাহিকের ঘটনা।

করোনার এই সময়ে সব নিরাপত্তা বজায় রেখে হোম কোয়ারেন্টিন পদ্ধতি মেনে এই ধারাবাহিকের ডাবিংয়ের কাজ শেষ করা হয়। ধারাবাহিকটিতে বাহার ও তার স্বামী সার্পের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন মেরিনা মিতু ও শফিকুল ইসলাম।