নিজের সেরা নাচের গল্প শোনালেন মাধুরী

মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বয়সের হিসাবে তিন বছর আগে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তাতে কী? এটা তো তাঁর কাছে নিছক একটা সংখ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁর হাসি, চোখের তারার ভাষা, নাচের মুদ্রা আর অভিনয়ের গুণে মুগ্ধ অগণিত ভক্ত। ৭০টির বেশি ছবিতে দেখা দিয়েছেন তিনি। বলিউডের অসংখ্য আইকনিক গান জীবন্ত হয়েছে তাঁর নাচে। তিনি মাধুরী দীক্ষিত। সম্প্রতি নিজের ফেলে আসা দিন, সন্তান, সংসার আর ‘ড্যান্স উইথ মাধুরী’ শিরোনামে অনলাইনে নাচের প্রতিযোগিতা নিয়ে ফিল্ম ফেয়ারের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ করেছেন ‘চিরসবুজ’ মাধুরী।


লকডাউনের দিনগুলো দিব্যি কাটছে মাধুরীর। স্বামী আর দুই ছেলে নিয়ে ঘরেই আছেন। ঘরে থেকে অনলাইনে নাচ শেখাচ্ছেন। এই অবসরে মায়ের সঙ্গে সন্ধ্যায় গানের চর্চা করেন। বইও পড়ছেন। এমনকি ছেলেদের টুকটাক নাচও শেখাচ্ছেন। তাঁর দুই ছেলে রায়ান আর আরিন, দুজনই গণিত আর পদার্থবিজ্ঞানের সঙ্গে সংগীতও ভালোবাসে।

মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বড় পর্দার আইকনিক গানগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতেই মাধুরী বললেন, ‘সিনেমার গানে নাচা আর এমনিতে নাচ করা কিন্তু অনেক আলাদা। এমনিতে নাচার সময় আপনাকে দর্শক আর সীমানা মাথায় রাখতে হবে। সিনেমার গানের ক্ষেত্রে মুখের অভিব্যক্তি, ক্যামেরা আর প্রপস।’ স্মৃতি হাতড়ে তিনি জানালেন, ‘তাম্মা তাম্মা' গানে তো একটি শট ৪০ বারও নেওয়া হয়েছে। ‘এক দো তিন’, ‘চোলি কে পিছে’, ‘ডোলা রে’ গানগুলোর কেবল কোরিওগ্রাফ করতেই ১২ দিন করে সময় লেগেছিল। ‘চোলি কে পিছে’ গানের শুট করার সময় সেটে এত প্রপস ছিল যে পরিচালক সুভাষ ঘাই বলেছিলেন, ‘আমি কোন দিকে তাকিয়ে কী দেখব, তা-ই তো বুঝতে পারছি না! আমি তো আমার হিরো-হিরোইনকেই দেখতে পাচ্ছি না।’ নাচটা কিন্তু বেশ ভালো হলো। দর্শকও সাদরে গ্রহণ করলেন।

যেন স্মৃতির ডালি খুলে বসেন মাধুরী, ‘“আনজাম” (১৯৯৪) ছবিতে “তেরে বিন নাহি গুজরে দিন” নাচের শুটিং এক টেকে নেওয়া। শাহরুখের কাজ হুইল চেয়ারে বসে আমাকে দেখা। আমি প্রথমবারেই ঠিকঠাক শট দিলাম। শাহরুখ বোধ হয় বিরক্ত হচ্ছিল, তবুও ক্যামেরার সামনে হাসিমুখ ধরে রাখতে হয়েছে। ভাবছিল, কখন শেষ হবে! সারা দিন ধরে চলেছিল “হামকো আজ কাল হ্যায় ইন্তেজার” গানের শুটিং। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত “মার ডালা” গানের শুটিং করা। তবে আমার প্রিয় “চানে কে খেত মে”। সবাই সহজেই নাচটা পারে।’