'শচীন টেন্ডুলকার আমার অভিনয়ের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন'

শিয়ামি খের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
শিয়ামি খের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তাঁর মা ছিলেন সাবেক মিস ইন্ডিয়া। কিন্তু তাঁর মডেলিং বা অভিনয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না। তিনি হতে চেয়েছিলেন খেলোয়াড়। স্কুল–কলেজে পড়াশোনার সময় প্রায় ১০ বছর ধরে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা করেছেন। সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়ার সময় একবার ১১টি খেলায় ট্রফি নিয়ে এসেছিলেন। ক্রিকেট খেলেছেন মহারাষ্ট্র স্টেট টিমে। সাইনা নেওয়ালের সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাডমিন্টনও খেলেছেন। হঠাৎ একদিন কী মনে হলো, সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে বড় পর্দায় অভিনয়ের দিকে চোখ রেখে মডেলিং শুরু করলেন। ২০১৬ সালে ‘মির্জা’ সিনেমার মাধ্যমে পা রাখেন বলিউডে। এতক্ষণ যাঁর কথা বলছি, তিনি ‘চোকড’খ্যাত শিয়ামি খের।

তাঁর প্রথম ছবি ‘মির্জা’ বক্স অফিসে মুখথুবড়ে পড়ল। সেই সঙ্গে শিয়ামির স্বপ্নও। এর চার বছর পর ২০২০ সালে ফিনিক্স পাখির মতো ফিরলেন শিয়ামি, অনুরাগ কশ্যপ পরিচালিত ‘চোকড’ সিনেমায় সারিতা হয়ে। শিয়ামির ফোন, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার—সবখানে ভরে উঠল প্রশংসাবার্তায়। এমনকি ‘মির্জা’র পর যাঁরা বলেছিলেন, ‘যা করছিলে তা–ই করো, স্পোর্টস থেকে বলিউডে এসে কেউ কোনো দিন সফল হয়নি। আর তোমাকে দিয়ে হবেও না।’ তাঁরাও সমানে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়ে লিখেছেন, ‘যা দেখালে, দুর্দান্ত। কখনো ভাবিনি তোমাকে দিয়ে এ রকম অভিনয় হবে।’

শচীন টেন্ডুলকার শিয়ামি খেরের অভিনয়ের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
শচীন টেন্ডুলকার শিয়ামি খেরের অভিনয়ের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘চোকড’ সিনেমা থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় প্রশংসা কী? ফিল্মফেয়ারের এমন প্রশ্নে শিয়ামির উত্তর, ‘অনেকেই আমাকে বলেছেন, এই ছবিতে আমার অনায়াস অভিনয় নাকি স্মিতা পাতিলের কথা মনে করিয়ে দেয়। মধ্যবিত্ত, সংসারী সারিতার সঙ্গে যে আমার কোনো মিল নেই, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে জাভেদ আক্তার স্যার বলেছেন, সারিতাকে দেখে তাঁর ঘুণাক্ষরেও মনে হয়নি, সে ক্রিকেট, টেনিস বা অন্যান্য খেলা নিয়ে কিছু জানে। শচীন টেন্ডুলকার আমার অভিনয়ের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। শাবানা আজমি সিনেমা দেখা শেষ করে আমাকে ফোন করে ৪০ মিনিট কথা বলেছেন।’

দ্বিতীয় ছবির জন্য কেন চার বছর সময় নিলেন? ২৮ বছরের শিয়ামি বললেন, তিনি এত সময় নিতে চাননি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চেষ্টা করেও তিনি কোনো হিন্দি ছবি পাননি। তবে এর মধ্যে ওয়েব সিরিজ ‘ব্রিদ’–এ দেখা গেছে তাঁকে। আর রিতেশ দেশমুখের সঙ্গে ‘মাওলি’ নামের একটা মারাঠি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।

শিয়ামি খের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
শিয়ামি খের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

জীবনে প্রশংসা বা সমালোচনা, কোনোটা নিয়েই বিশেষ মাথাব্যথা নেই শিয়ামির। প্রশংসা আর সমালোচনা—দুটোর মানেই তাঁর কাছে এক। আরও ভালো কাজ করতে হবে। খেতে ভালোবাসেন শিয়ামি। আর ভালোবাসেন ফিট থাকতে। ১২ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে ১০ কিমি দৌড়ান। আর যেদিন মনের সুখে বার্গার, পিৎজা খান, সেদিন ১৫ কিমি দৌড়ান। ব্যাস, মিটে গেল। লকডাউনে অবশ্য এই দৌড়ের পুরোটাই চলছে ট্রেডমিলে।

‘চোকড’ সিনেমা থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় প্রশংসা কী? ফিল্মফেয়ারের এমন প্রশ্নে শিয়ামির উত্তর, ‘অনেকেই আমাকে বলেছেন, এই ছবিতে আমার অনায়াস অভিনয় নাকি স্মিতা পাতিলের কথা মনে করিয়ে দেয়। মধ্যবিত্ত, সংসারী সারিতার সঙ্গে যে আমার কোনো মিল নেই, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে জাভেদ আক্তার স্যার বলেছেন, সারিতাকে দেখে তাঁর ঘুণাক্ষরেও মনে হয়নি, সে ক্রিকেট, টেনিস বা অন্যান্য খেলা নিয়ে কিছু জানে। শচীন টেন্ডুলকার আমার অভিনয়ের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।’