চুক্তিবদ্ধ হলেন পূজা-সুমন

চুক্তি সই করতে লাল জামা পরে হাজির হয়েছেন দুই তারকা। ছবি: সংগৃহীত
চুক্তি সই করতে লাল জামা পরে হাজির হয়েছেন দুই তারকা। ছবি: সংগৃহীত

তখনকার প্রেম ছিল সবচেয়ে মধুর। কারণ তখন মুঠোফোন ছিল না। চাইলেই প্রেমিক-প্রেমিকারা যোগাযোগ করতে পারতেন না। যখন-তখন দেখা করা সম্ভব হতো কেবল স্বপ্নে। নব্বই দশকের সেই প্রেম হারিয়ে গেছে। সে রকম একটা প্রেমে জড়িয়ে গেলেন পূজা চেরি এবং এ বি এম সুমন। সেই প্রেমের কাহিনিতে তাঁরা হৃদিতা ও কবির। আজ থেকে তাঁরা বলতে পারবেন, ‘আমি আর নেই সে আমি।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুজনের চুক্তি হয়েছে। ‘পোড়ামন টু’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবি দুটির দুই আলোচিত তারকা শুরু করতে যাচ্ছেন একটি নতুন ভ্রমণ। ‘হৃদিতা’ নামের একটি নতুন চলচ্চিত্রের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করতে যাচ্ছেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান।

২০১৯-২০ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান পেয়েছে ‘হৃদিতা’। রাজধানীর মগবাজারের একটি রেস্তোরাঁয় সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রের চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক। আরিফ জাহান বলেন, ‘বড় আয়োজন করেই চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানটি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে সেটা সম্ভব হলো না। নিজেরা চার–পাঁচজন মিলে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠানটি করেছি।’ ছবির হৃদিতা চরিত্রে পূজাকে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে এই পরিচালক বলেন, ‘ছবির গল্পটি পড়লে যে কেউ হৃদিতা চরিত্রের জন্য পূজার কথাই ভাববেন। এই চরিত্রে তাঁকে দারুণ মানায়। অনুদানের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিত্রনাট্য জমা দেওয়ার সময়ই শিল্পীর তালিকায় তাঁর নামটি দিয়েছিলাম। এ ছাড়া কবির চরিত্রে পূজার সঙ্গে সুমনকে ভালো মানাবে।’

পর্দায় প্রেম করার জন্য চুক্তি করেছেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত
পর্দায় প্রেম করার জন্য চুক্তি করেছেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত

হৃদিতা মানে পূজা নিজে জানার আগেই রটে গিয়েছিল ঘটনাটি। তা পৌঁছে গিয়েছিল পূজার কানেও। অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়ার আগেই যেন তিনি জানেন, তিনিই হৃদিতা। বেশ মজা পাচ্ছিলেন তিনি। এবারে সুযোগ যখন এল, কেমন লাগছে তাঁর? পূজা বলেন, ‘তখনো পরিচালকের সঙ্গে কাজটি নিয়ে কথা হয়নি আমার। কেবল লোকমুখে শুনেছিলাম, হৃদিতা চরিত্রটি আমার জন্য ভাবা হচ্ছে। আনিসুল হক স্যারের লেখা উপন্যাস, এ জন্য আগ্রহ ছিল। প্রস্তাবের সঙ্গে আমাকে চিত্রনাট্যও দেওয়া হলো। সেটা পড়ে পরিচালক মত জানাতে বলেছিলেন। সেদিনই পাঁচ ঘণ্টা ধরে চিত্রনাট্য পড়ে শেষ করে রাজি হয়ে যাই।’

এ বি এম সুমনের আবার উপন্যাসটি আগেই পড়া ছিল। তিনি বলেন, ‘গল্পটি খুব সুন্দর। চিত্রনাট্যে নব্বইয়ের দশকের প্রেম-বিরহকে এখনকার সময়ের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়েছে। মনে হচ্ছে, ভালো কিছু হবে, অন্তত আমার তা–ই আশা।’

আগামী দুই মাস চলবে প্রি–প্রোডাকশনের কাজ। পরিচালক জানালেন, অক্টোবর থেকে হয়তো শুটিং শুরু করতে পারবেন। এর আগেও আনিসুল হকের উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন এই পরিচালক। সেবার করা হয়নি, এবার হবে বলে আশা রাখেন তিনি।