এত ঘুম জীবনেও ঘুমাননি আয়ুষ্মান খুরানা

খুরানা। ছবি:ইনস্টাগ্রাম
খুরানা। ছবি:ইনস্টাগ্রাম

‘বহিরাগত’ বলতে যা বোঝায়, আয়ুষ্মান খুরানা ঠিক তা–ই! চণ্ডীগড়ের এক সাধারণ তরুণ। অনেকের মতো সাধ হয়েছিল হিরো হবেন; মুম্বাই যাবেন, বলিউড কাঁপাবেন। সেই স্বপ্ন ভোজবাজির মতো ফস করে সত্য হয়ে গেল! হাজার দর্শকদের সঙ্গে বসে নিজের অভিনীত ভিকি ডোনার সিনেমাটা দেখলেন। তারপর দেখলেন, সবাই তাঁকে দেখছে, তাঁকে নিয়েই কথা বলছে। এই অনুভূতি যেন বদলে দিল আয়ুষ্মানকে।

ওই ছবিটায় অন্য কোনো তারকা ছিলেন না। তবু তাঁর প্রথম ছবি ব্লকবাস্টার হিট। বলিউডের কম অভিনয়শিল্পীর ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা ঘটে। অকস্মাৎ পেয়ে যাওয়া তারকাখ্যাতি আয়ুষ্মানকে সাময়িকভাবে করে দিল যেন অন্য এক মানুষ। স্ত্রী তাহিরা কশ্যপের সঙ্গে সম্পর্ক চূড়ান্ত খারাপ হয়ে গেল। আয়ুষ্মানের ভাষায়, ‘সাফল্য যে মানুষকে পাগল করে দেয়, সেটা আমি টের পেয়েছি তখনই। ভেবেছিলাম...হয়েই তো গেছি...এবার যা ধরব, সব সোনা হয়ে যাবে। সুতরাং ভুল ভাঙার জন্য, পরিণত হওয়ার জন্য পরপর কয়েকটা ফ্লপ ছবি আমার দরকার ছিল। আমি তাহিরাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আট বছর পর এখন আমি বুঝি যে আমি কতটা বোকা ছিলাম।’ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফিল্মফেয়ারকে এমনটিই বলেছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই তারকা।

খুরানা। ছবি:ইনস্টাগ্রাম
খুরানা। ছবি:ইনস্টাগ্রাম

অভিনেতা হিসেবে আয়ুষ্মান গোল্ডেন এ–প্লাস পেয়েছেন। কিন্তু ছেলেমেয়েদের বাবা হিসেবে তিনি কেমন? মজা করে আয়ুষ্মান বলেন, ‘তারা যে যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান, সেটা টের পেলাম এই লকডাউনে এসে। আমার আট বছরের ছেলে আর ছয় বছরের মেয়ে—দুজনই অঙ্কে কাঁচা। তাদের একটা সাধারণ অঙ্ক বোঝাতে আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। এই যে বাচ্চাদের অঙ্ক করাচ্ছি, তার মানে আমি ভালো বাবা হওয়ার চেষ্টা করছি। আগে কখনো এভাবে সময় পাইনি। বছরে ৩টা ছবি করতে গিয়ে ঘুমানোরই সময় পাইনি।’

লকডাউনের সময়টা কেবল স্ত্রী-সন্তানদের দিয়েছেন আয়ুষ্মান। এর আগে স্ত্রীর সঙ্গে এভাবে সময় কাটিয়েছেন প্রায় ১০ বছর আগে। তা ছাড়া নিয়ম করে এখন রাতে সাড়ে আট ঘণ্টা আর দিনে এক ঘণ্টা করে ঘুমাচ্ছেন আয়ুষ্মান। এত ঘুম নাকি জীবনেও ঘুমাননি।