গুজবকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানায় অপূর্ব

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ছবি: সংগৃহীত
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক স্ত্রীকে জড়িয়ে বানোয়াট খবর প্রকাশের অভিযোগ করতে নিরুপায় হয়ে থানায় গেলেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ঘোষণা দিয়ে অনলাইন পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা না করে আজ শনিবার বিকেলে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এই টেলিভিশন তারকা, নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো. ইব্রাহিম মোল্লা।

কয়েক মাস ধরে অপূর্ব ও তাঁর সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতিকে ঘিরে বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করা হয়। এমনকি বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয় বিভ্রান্তিকর সব তথ্য, যা বিব্রত করেছে অপূর্বকে। সেসব থেকে রেহাই পেতে আইনের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেলগুলোর দাবি, অপূর্ব-অদিতির সংসার ভাঙার পেছনে কাজ করেছেন সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম। অপূর্ব জানান, এসব বানোয়াট। তিনি বলেন, ‘কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই কতিপয় অনলাইন পোর্টাল এবং ইউটিউব চ্যানেল সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, যা আমার ও অদিতির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। যাঁরা এসব গুজব রটাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ করেছি।’

ফেসবুকে অপূর্ব লিখেছেন, ‘আমি আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তি। অনলাইনে মিথ্যা, অপ্রাসঙ্গিক ও অনভিপ্রেত সংবাদ প্রকাশের জন্য আমি সাইবার আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিটিটিসি-সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরামর্শক্রমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় উত্তরা পূর্ব থানায় আমি অভিযোগ দায়ের করলাম। আমি বিশ্বাস করি, আমি ন্যায়বিচার পাব। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যম ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি অনুরোধ করব, এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন।’

মামলার প্রস্তুতি হিসেবে প্রকাশিত খবরগুলো সংগ্রহ করেছেন অপূর্ব। জড়ো করেছেন প্রকাশিত বেশ কিছু ভিডিও। যে খবরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে, সেগুলোকেও নথিভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অপূর্ব বলেন, ‘অদিতির সঙ্গে সাংসারিক জীবনে না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। অদিতির কোনো অসম্মান হোক, সেটা আমি চাই না।’

সাবেক স্ত্রী নাজিয়ার সঙ্গে অপূর্ব। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক স্ত্রী নাজিয়ার সঙ্গে অপূর্ব। ছবি: সংগৃহীত

লকডাউনে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকার পর চলতি মাসেই ‘প্রাণ প্রিয়’ নামের একটি নাটকে শুটিং শুরু করেছিলেন অপূর্ব। ইউনিটের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে কাজ শুরু করলেও পরদিনই দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের করোনা ধরা পড়ে। সেদিন থেকে কোয়ারেন্টাইনে চলে যান অপূর্বসহ ওই ইউনিটের সবাই। পরে আবারও শুটিং শুরু করেন তাঁরা। শুটিংয়ে থাকাকালীন বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে গুজবগুলো তাঁর নজরে আসে। সে সময় তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘অদিতি ও আমাকে জড়িয়ে এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো অনলাইন পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনি ছড়ানোর দায়ে আমি ওই সব অনলাইন পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

২০১১ সালের ১৪ জুলাই নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন অপূর্ব। ২০১৪ সালের জুন মাসে বাবা-মা হন তাঁরা। এ বছর বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এর আগে সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। বিয়ের কিছুদিন পরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।