'আমরা এসবে বিব্রত, লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ'

ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত
ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

নতুন কোনো সিনেমার খবর নেই। তবে করোনাকালে কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানের শুটিং করেছেন ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ। মহামারির এই সময়ে স্বল্প আয়ের চলচ্চিত্রকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন এই তারকা।

আপনাকে কয়েক দিন ফোনে পাচ্ছিলাম না। বিদেশে গিয়েছিলেন নাকি?
আমার প্রতিষ্ঠান টিউলিপে কর্মী নিয়োগের কাজে ব্যাংকক গিয়েছিলাম। দুই দিন ছিলাম সেখানে।

ঢাকা-ব্যাংকক ফ্লাইট কি স্বাভাবিক হয়েছে?
স্পেশাল ফ্লাইট। দূতাবাসের অনুমতি নিয়ে যেতে হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানে ব্যাংককের কয়েকজন নাগরিক চাকরি করেন। তাঁরা লকডাউনে আটকে ছিলেন। তাঁদের যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়েছে, পাশাপাশি কয়েকজনের আসারও বিষয় ছিল।

চলচ্চিত্র অঙ্গনের খবর জানেন?
চলচ্চিত্র অঙ্গনের অবস্থা খুবই খারাপ। এই করোনার ভেতরেও মানববন্ধন, সভা–সেমিনার চলছে। আমি মান্না ভাই ও শাকিবকে শিল্পী সমিতিতে পেয়েছি। কী সুন্দর পরিবেশ ছিল! কিন্তু এখন শিল্পী সমিতি নিয়ে যে নোংরামি চলছে, নিজেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরিচয় দিতেও লজ্জা পাই।

করোনাকালে কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানের শুটিং করেছেন নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানের শুটিং করেছেন নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের আন্দোলন কতটা যৌক্তিক মনে করেন?
আমি মনে করি যৌক্তিক। চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন মিলে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে, সঙ্গে আছেন শিল্পী সমিতির পদ হারানো সদস্যরাও। তাঁদের অনেকে আমার অনেক সিনিয়র। আমি যখন চলচ্চিত্রে এসেছি, তাঁরা তখন তুমুল ব্যস্ত। কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত
ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

এফডিসিতে এখন সিনেমার চেয়ে দ্বন্দ্ব বেশি, আপনার কী মত?
আমাদের শিল্পী পরিচিতি সিনেমার কারণে। অথচ আমরা এখন সিনেমায় ফোকাসড না। হয়তো অনেকেই বলবেন, সিনেমা হলই তো নেই। আমি বলব, হল ছাড়া সিনেমাকে কীভাবে মানুষের কাছে নেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করুন। কীভাবে লগ্নির টাকা ফেরত আসবে, তা নিয়ে ভাবুন। আগে শিল্পীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল পর্দায়। তখন অনেক কাজ হতো। এখন কাজ কম, দ্বন্দ্ব বেশি।

দ্বন্দ্বের কারণ কী বলে মনে করেন?
প্রকৃত শিল্পীরা সমিতিতে নেই। যাঁরা আছেন, তাঁদের কোনো কাজ নেই। সমিতিকে ঘিরে আরও কত কী যে হয়, এসব বলতেও অস্বস্তি হচ্ছে। আমরা এসবে বিব্রত, লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ। চলচ্চিত্রের সেসব শিল্পী, যাঁরা অভিনয় দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন, তাঁরা সমিতি থেকে দূরে সরে যাওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে।