সিডনির ড্রাইভ-ইন শোতে 'পোড়ামন টু'

‘পোড়ামন টু’ ছবির একটি পোস্টার। সংগৃহীত
‘পোড়ামন টু’ ছবির একটি পোস্টার। সংগৃহীত

বিদেশে বাংলা সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। এত দিন সেসব মুক্তি পেয়েছে থিয়েটারে। এবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ড্রাইভ-ইন শোতে দেখানো হবে বাংলা সিনেমা ‘পোড়ামন টু’।

ড্রাইভ-ইন শোতে বড় মাঠে রাখা পর্দায় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। দর্শকেরা গাড়ি নিয়ে সেই পর্দার সামনে গাড়ি রেখে গাড়ির ভেতরে বসেই সিনেমা উপভোগ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় এ রকম একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হবে বাংলাদেশি সিনেমা ‘পোড়ামন টু’। এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দুই প্রবাসী বাঙালি আকাশ আহসান, ওয়াহেদ সিদ্দিকী ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকার দীপংকর দীপন। সম্প্রতি এ তিনজন মিলে শুরু করেছেন বিডিএম (বাংলা ড্রাইভ-ইন মুভিজ) নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আগামী ৮ আগস্ট সিডনির ফেয়ার ফিল্ড শো গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের ছবিটি প্রদর্শিত হবে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন ‘পোড়ামন টু’ ছবিটি প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তাই প্রদর্শনী শুরুর আগে সালমান শাহ স্মরণে সেখানে তাঁর অভিনীত ছবির কয়েকটি গান দেখানো হবে।

ড্রাইভ–ইন শোতে সাধারণত ইউরোপের সিনেমাগুলো বেশি দেখানো হয়। ইউরোপের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই প্রদর্শনী দারুণ জনপ্রিয়। সিডনিতে আয়োজিত বিডিএমের এ শোর জন্য মাঠের অনুমতিসহ প্রদর্শনীর সব প্রস্তুতি শেষ। এমনকি টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন দেশে ড্রাইভ-ইন শোতে কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ার এ রকম একটি প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীটির কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।

এ রকম উদ্যোগে বাংলাদেশি সিনেমার প্রদর্শনী প্রসঙ্গে দীপংকর দীপন জানান, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দুই বাঙালি আকাশ আহসান ও ওয়াহেদ সিদ্দিকীর মাথায় এটি প্রথম আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে গিয়ে ড্রাইভ-ইন শো দেখেছেন তাঁরা। একসময় বাংলা সিনেমার এ রকম একটি শোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। দীপন বলেন, ‘ওয়াহেদ সিদ্দিকী আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই। তাঁরা দুজন আমার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। আমার মনে হয়, এটি বাংলা সিনেমার জন্য নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ার মতো। গত মার্চ মাস থেকে আমরা আয়োজনটি নিয়ে কাজ শুরু করি।’

এ রকম প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলা সিনেমা কতটা লাভবান হবে? দীপন বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলা সিনেমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনেমা হল, থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে। এবার এই পদ্ধতিতে বাংলা সিনেমা আরও ছড়িয়ে যাবে। যেহেতু ছবিটি ইংরেজিতে ডাব করে দেখানো হবে, তাই বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও অন্য ভাষার সিনেমাপ্রেমীরা বাংলাদেশের সিনেমা উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। এতে ছবির প্রযোজকেরাও বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবেন।’ এর আগে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক প্রথম বাংলা সিনেমার পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া মেজের মাধ্যমে ‘দেবী’ ও ‘পোড়ামন টু’ ছবি দুটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিলেন এই নির্মাতা।

দীপন জানান, সিডনির বিভিন্ন শহরে প্রদর্শনীর পর দুবাইয়ে এ রকম প্রদর্শনী করতে চান তাঁরা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ‘কাঠবিড়ালি’, ‘দহন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিগুলো তিনটি ড্রাইভ-ইন শোতে প্রদর্শনীর কথা রয়েছে।