সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় লেগে গেছে

বালাম
বালাম
দীর্ঘদিন পর ভক্ত-শ্রোতাদের নতুন গান উপহার দিতে যাচ্ছেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক বালাম। ‘তুমি রূপকথায়’ শিরোনামে গানটির সুর ও সংগীতায়োজনের পাশাপাশি সংগীতচিত্র নির্মাণ করেছেন শিল্পী নিজেই। গান ও গানকে ঘিরে ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গে কথা বললেন এই শিল্পী।

দীর্ঘ বিরতি নিয়ে নতুন গান প্রকাশ করছেন কেন?
মন সায় দেয়নি বলে নতুন গান প্রকাশ করা হয়নি। অনেক দিন পর এই গানের কথা ও সুর ঠিকঠাক মনে হয়েছে। গানের কথার মধ্যে বেশ মজা আছে। শ্রোতাদের অনেকে বৈচিত্র্য চান, অনেকে আবার বালামের আগের সেই ধাঁচ মিস করেন। এই গানে এক দশক আগের বালামকে খুঁজে পাবেন সবাই।

তাহলে এখন থেকে আপনাকে নিয়মিত পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, আবার নিয়মিত হব। ঈদের পর টিএম রেকর্ডস থেকে আরেকটি গানের ভিডিও করব। সত্যি বলতে, মন যতক্ষণ পর্যন্ত সায় না দেয়, ততক্ষণ গান প্রকাশে আমি আগ্রহী নই। তা ছাড়া আমাদের গান প্রকাশের প্ল্যাটফর্মও বদলে গেছে। আমরা সিডি ও ক্যাসেটের যুগ পেয়েছি। হঠাৎ করে সেই যুগের অবসান হওয়ায় মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। তারপরও যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতাম, তাহলে হয়তো আরও গান প্রকাশ করতাম।

সক্রিয় হচ্ছেন না কেন?
আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলে কোনো কাজ করি না। এখনো মনে হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার মানুষ আমি না। আমি কাজে বিশ্বাসী, একাকিত্বে বিশ্বাসী। তবে নিজের মতো গান করি সব সময়। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ব্যস্ত থাকতে অস্বস্তি লাগে। সিডি চয়েজ থেকে গীতিকার জীবনের (রবিউল ইসলাম) মাধ্যমে এই গানের জন্য অ্যাপ্রোচ করেছে, তাই কাজটি করা।

অনেক এগিয়ে থাকা শিল্পী আপনি, হঠাৎই একটু পিছিয়ে গেছেন বলে মনে করেন? কোনো আফসোস আছে এ নিয়ে?
আমি ইতিবাচক চিন্তা করি। কোনো আফসোস নেই। কিছু বিষয় একেবারে অপ্রত্যাশিত। আমার কাজের বিরতি পড়েছিল স্ত্রীর হঠাৎ অসুস্থতার কারণে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় লেগে গেছে।

সংগীতচর্চায় স্ত্রীর অনুপ্রেরণা পান কেমন?
সে আমাকে ভীষণ উৎসাহ দেয়। এখনো আমার কোনো গান প্রকাশ হলে সে শোনে। সে তো এখনো মনে করে, বিশ্বের সেরা গানগুলো আমি প্রডিউস করছি।

নতুন গানের ভিডিও নিজেই বানালেন কেন?
গান তৈরির ফাঁকে একঘেয়েমি চলে আসত, তখন ভিডিও এবং ফটো এডিটিং শিখেছি। ভালো লাগা থেকেই শিখেছি। নতুন গানের ভিডিও তৈরিতে সেই অভিজ্ঞতা বেশ কাজে লেগেছে। বাসার ছাদে শুটিং করেছি, খুব শর্টকাট। অ্যামেচার মনে হবে না, পেশাদার মনে হবে। গানের ভিডিওতে আমার স্ত্রী ক্যামেরা চালিয়েছে। এক ঘণ্টায় ভিডিওর শুটিং শেষ। তিন-চার ঘণ্টায় সম্পাদনা শেষ।

করোনায় অনেকের অনেক রকম উপলব্ধি হয়েছে। আপনার উপলব্ধি কী?
করোনায় ভেঙে না পড়ে উদ্দীপ্ত হয়েছি। মনে হয়েছে, গানে আরও গতি আনতে হবে। এভাবে দেরি করা ঠিক হবে না। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমার জন্মই হয়েছে গানে জন্য।