কখনোই ছবি পাওয়ার জন্য কারও প্রিয় হতে চাইনি: দিয়া মির্জা

দিয়া মির্জা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
দিয়া মির্জা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সুশান্ত সিং রাজপুতের পর বলিউডে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। তারকারা এখন মন খুলে কথা বলছেন বলিউডের স্বজনপ্রীতি আর লেজুড়বৃত্তি নিয়ে। কথা বলছেন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায় নিয়ে। সেই তালিকায় নাম আছে অভয় দেওল থেকে শুরু করে দুবার অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমানেরও। আর এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন দিয়া মির্জা। লোকে বলে, তিনি নাকি ‘যথেষ্ট সুন্দরী’, মেধাবী আর পরিশ্রমী হওয়া সত্ত্বেও বলিউডের আকাশে ঠিক জ্বলে উঠতে পারেননি। কেন পারেননি, ভারতের এক দৈনিককে সেই উত্তর দিয়েছেন ২০০০ সালের এই মিস ইন্ডিয়া।

স্বজনপ্রীতি আর লেজুড়বৃত্তির দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে র‍্যাহনা হ্যায় তেরে দিল মে, সঞ্জুখ্যাত এই বলিউড তারকা বলেন, ‘প্রশ্নটা হচ্ছে, বলিউডে স্বজনপ্রীতি আছে কি না? কার সঙ্গে কার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, কে কার প্রিয়—এগুলোর ভিত্তিতে রাজনীতি চলে কি না? উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই এগুলো যুগ যুগ ধরে টিকে আছে। আর শুধু বলিউড কেন, সমাজের সবখানে আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একজন শিক্ষকের প্রিয় ছাত্রছাত্রী থাকে। হয়তো আমি কখনোই কারও প্রিয় হতে পারিনি। আমি কখনোই ছবি পাওয়ার জন্য কারও প্রিয় হতে চাইনি। কিন্তু এটাই যখন প্রতিষ্ঠিত আর একমাত্র নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটা একটা সামাজিক ব্যাধি হিসেবে ধরা পড়ে। বলিউডে এমন অনেকেই আছেন, যোগ্যতার চেয়ে তাঁরা অনেক বেশি পেয়েছেন। আর তাঁদের চেয়ে কয়েক শ গুণ বেশি মানুষ আছেন, যাঁদের মেধা, সততা আর প্রচেষ্টার কোনো মূল্যায়ন হয়নি। তাঁরাও আমার মতো কারও প্রিয় হতে পারেননি। মেরুদণ্ড সোজা রেখে, মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছেন। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা এই বেলা “স্বজনপ্রীতি” “স্বজনপ্রীতি” করে চেঁচিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার করছেন। এটাও কোনো সুস্থ চর্চা নয়।’

দিয়া মির্জা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
দিয়া মির্জা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মহামারির ঘরবন্দী দিনে পরিবেশবাদী দিয়া মির্জার দিন কাটছে বারান্দায় আর বাড়ির সামনে বাগানে গাছ লাগিয়ে, গাছের পরিচর্যা করে। তাঁর পোষা কুকুরের মৃত্যুর পর সেটাকে বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দিয়ে সেখানে লাগিয়েছেন এক দোলনচাঁপা। দোলনচাঁপার ঘ্রাণে তাঁর পোষা প্রাণীটির কথা মনে পড়ে। দিয়ার ভাষায়, এভাবেই তাঁর পোষ্যকে তিনি ফুলের ঘ্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছেন। গাছের গায়ে ছোট ছোট পাত্র ঝুলিয়ে দিয়েছেন, যাতে পাখি পানি পায়। জানালেন, লকডাউনে তিনি এমন সব পাখির ডাক শুনতে পাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে যেসব পাখির দেখা পাওয়া যেত না। পানির অপচয় রোধের জন্যও বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। না বলেছেন ‘প্লাস্টিক’কে।