ঈদে তিশার নাটক মাত্র একটি!

অবশেষে কাজে ফিরলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে কাজে ফিরলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশাও শুটিংয়ে ফিরলেন। ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই শুটিংয়ে নামলেও তানজিন তিশা এত দিন শুটিং থেকে বিরত ছিলেন। আজ বুধবার উত্তরায় শুটিং শুরু করেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত নাটকের নাম ‘ভুল এ শহরের মধ্যবিত্তদেরই ছিল’। তাঁর সঙ্গে দেখা যাবে আফরান নিশোকে। আগামীকালও চলবে এই শুটিং। তিশা জানিয়েছেন, ঈদুল আজহায় নতুন এই একটি নাটকেই অভিনয় করছেন তিনি।

তিশা বলেন, ‘ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে। কিন্তু ঈদের কোনো আমেজই পাচ্ছিলাম না। শুটিং ছাড়া নিজের কাছে ঈদকে ঈদ মনে হচ্ছিল না। কী যেন একটা মিস করছিলাম। ঈদ হবে, আর ঈদে আমার নতুন কোনো নাটক থাকবে না, তা কী করে হয়! তাই ভাবলাম, অন্তত একটা কাজ করি।’

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত জুন মাসের শুরুতে নাটকের শুটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সমিতিগুলো। ধীরে ধীরে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীদের পদচারণে সরব হয়ে ওঠে শুটিংবাড়িগুলো। প্রথম দিকে শুটিংয়ে না নামলেও চলতি মাসে শুটিং শুরু করেছেন অপূর্ব, নিশো ও মেহজাবীন। তানজিন তিশারও এই মাসের শুরুতে কাজে নামার কথা ছিল। কয়েকটি নাটকের শিডিউলও দিয়েছিলেন। হঠাৎ তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে সব শিডিউল বাতিল করে দেন। ওই সময় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই ঈদে আর কাজ করবেন না। কিন্তু ঈদের সময় ঘনিয়ে এলে নিজেকে আর ঘরে আটকে রাখতে পারেননি এই অভিনেত্রী। নেমে পড়েন শুটিংয়ে।

ঈদে মাত্র একটি নাটকেই দেখা যাবে তানজিন তিশাকে। ছবি: সংগৃহীত
ঈদে মাত্র একটি নাটকেই দেখা যাবে তানজিন তিশাকে। ছবি: সংগৃহীত

তানজিন তিশা বলেন, ‘এ মাসের মাঝামাঝিতে বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিংয়ে অংশগ্রহণের কথা হয়। কিন্তু হঠাৎ বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে সব কটি শিডিউল বাতিল করে দিই। ঈদে আর কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। শেষের দিকে এসে মনে হলো, ঈদে অন্তত একটি নতুন কাজ থাক।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তারের আগে শুটিং করা পাঁচটি নাটক এই ঈদে প্রচারিত হবে। কিন্তু নতুন কোনো নাটক না থাকলে ঈদের আনন্দ থাকে না। আগের নাটকগুলো ও নতুন এই একটি নাটক নিয়েই ভক্ত–দর্শকদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চাই।’

‘ভুল এ শহরের মধ্যবিত্তদেরই ছিল’ নাটকটি লিখেছেন ইব্রাহিম চৌধুরী। পরিচালনা করছেন মাহমুদুর রহমান হিমি। নাটকটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি থেকে জানানো হয়েছে, ঈদুল আজহায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে।