সিডনিতে যেমন কাটছে শাবনূরের ঈদ

চিত্রনায়িকা শাবনূর। ছবি: প্রথম আলো
চিত্রনায়িকা শাবনূর। ছবি: প্রথম আলো

ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা- তুফান-করোনা—সবকিছু রেখে আনন্দে মেতে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ ঈদ। কিন্তু ভিন দেশ। ঝলমলে সিডনি শহরের আনন্দের মধ্যেও রিনঝিনিঝিন কষ্টে উদাসী হলেন বাংলাদেশের একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। তিনি এখন রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। কেমন কাটছে দিন, কেমন কাটছে ঈদ, এ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন শাবনূর।

‘কয়েক মাস আগে যখন বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসছিলাম, ১২ ঘণ্টার যাত্রা। আমার ৬ বছরের ছেলেটা বিমানে একবারের জন্যও মাস্ক খোলেনি। নিজে থেকেই কেমন চুপচাপ বসেছিল। ও কী বুঝেছিল, আমি জানি না। তবে দেখে আমার খুব কষ্ট লাগছিল।’ বলছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হয়ে আসা বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর।

চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। ছবি: সংগৃহীত
চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। ছবি: সংগৃহীত

তাঁর ভীষণ মন খারাপ। এই সংকটের মধ্যে বাংলাদেশে থাকা সবার কথা খুব মনে পড়ছে তাঁর। বললেন, ‘সময় পেলেই খোঁজ নিচ্ছি, যার কথা যখন মনে পড়ছে। ক্যামেরার পেছনে যাঁরা আমার সঙ্গে সব সময় থাকতেন, আমার মেকআপ ম্যান, ড্রেস ম্যান, তাঁদের বেশি মিস করছি। যে যেখানেই আছেন, সাবধানে থাকবেন।’

ছেলেকে নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত
ছেলেকে নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহাকে ঘিরে তেমন কোনো আয়োজন নেই এই তারকার। পরিবার আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়েই এবারের ঘরোয়া ঈদ আয়োজনের কথা জানালেন শাবনূর । 'অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ করি, এটা আমাকে খুব বেশি কষ্ট দেয় না। আসলে মানুষ তো যে যেখানেই থাকুক, ঈদ করতে পরিবারের কাছেই যায়। আমি ছাড়া আমার পরিবারের প্রায় সবাই থাকে সিডনিতে। তাই পরিবারের সঙ্গ পাওয়ার জন্যই এ দেশে আসি। এ ছাড়া এখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আর অস্ট্রেলিয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও একেকটা উৎসবের সমান। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কেউ না কেউ পিকনিকের আয়োজন করে।’ বললেন শাবনূর।

ছেলেকে নিয়ে শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত
ছেলেকে নিয়ে শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত

ঈদের দিনের আয়োজন নিয়ে শাবনূর বললেন, ‘ঈদের দিন প্রচুর দাওয়াত পেয়েছি। কাউকেই মানা করিনি, তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে এত দাওয়াত রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ঘরোয়া আয়োজনে শুধু পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গেই এবারের ঈদের দিন কাটছে। আর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের আশা ব্যক্ত করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিডনিতে বসবাসরত শাবনূর ।