নওশাবা 'অমিয়া', মেয়ে 'প্যাঁচা'

মেয়ে প্রকৃতির সঙ্গে নওশাবা। ছবি: সংগৃহীত
মেয়ে প্রকৃতির সঙ্গে নওশাবা। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে ইদানীং নাটক বা সিনেমাতে নিয়মিত দেখা যায় না। তিনি ফিরে গেছেন তাঁর পুরোনো পরিচয়ে, পাপেটের জগতে। গড়েছেন টুগেদার উই ক্যান নামের সংগঠন। সেই সংগঠনের হয়েই এবার সাহসী বাঙালি নারীদের জীবন অবলম্বনে লেখা ১২টি গল্প পড়ে শোনাবেন। তবে নিজের পরিচয়ে নয়, গল্পগুলো নওশাবা শোনাবেন তাঁর বানানো পাপেট ‘অমিয়া’র মাধ্যমে। আগামীকাল ৪ আগস্ট থেকে গল্পগুলো দেখা ও শোনা যাবে লেটস রিড বাংলাদেশ, লেটস রিড ও হারস্টোরিজের ফেসবুক পেজে।

টিম ‘টুগেদার উই ক্যান’–এর শিল্প নির্দেশক চয়ন কুমার দাস, নির্বাহী প্রযোজক অমিত সিনহা, পরিচালক ও পাপেটিয়ার নওশাবা, পাপেটিয়ার প্রকৃতি ও আশিকিন খান। ছবি: সংগৃহীত
টিম ‘টুগেদার উই ক্যান’–এর শিল্প নির্দেশক চয়ন কুমার দাস, নির্বাহী প্রযোজক অমিত সিনহা, পরিচালক ও পাপেটিয়ার নওশাবা, পাপেটিয়ার প্রকৃতি ও আশিকিন খান। ছবি: সংগৃহীত

‘হার স্টোরিজে’র গল্প অবলম্বনে ও লেটস রিডের পৃষ্ঠপোষকতায় পাপেট দিয়ে গল্প বলার এই আয়োজনটি করেছেন নওশাবা। তাঁর বানানো পাপেট ‘অমিয়া’র পাশাপাশি ‘শম্বু প্যাঁচা’ ও ‘ধ্রুবতারা’ নামের দুটি পাপেট চরিত্রও দেখা যাবে এই আয়োজনে। এর মধ্য শম্বু প্যাঁচা পাপেটের জন্য কণ্ঠ দিয়েছে নওশাবার মেয়ে সাত বছরের প্রকৃতি। আর ধ্রুবতারা চরিত্রে শোনা যাবে আশিকিন খানের কণ্ঠ। মোট ১২টি গল্পকে পাপেট পরিবেশনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন নওশাবা। প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় প্রচারিত হবে এই পাপেট ধারাবাহিকের একেকটি গল্প।

নওশাবা। ছবি: প্রথম আলো
নওশাবা। ছবি: প্রথম আলো

জনপ্রিয় পাপেট শো ‘সিসিমপুর’-এ ‘ইকরি’ চরিত্র দিয়ে কাজী নওশাবা আহমেদের পাপেট নিয়ে কাজ শুরু হয়। সেখান থেকে নওশাবা টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। কয়েক বছর আগে আবার এই অভিনেত্রী পাপেটে জগতে ফিরে এসে গড়ে তোলেন ‘টুগেদার উই ক্যান’। কাজ শুরু করেন শিশুদের জন্য। এরই মধ্য শিশুদের মধ্য সচেতনতা ও সব বয়সী দর্শকের জন্য সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরে পাপেট প্রযোজনার মাধ্যমে বেশ কিছু কাজ করেছেন। এবার অনুপ্রেরণাদায়ক বাঙালি নারীদের জীবনের গল্প নিয়ে প্রকাশিত হার স্টোরিজ-এর প্রকাশনাগুলো তুলে ধরছেন শিশুদের উপযোগী করে। নওশাবা বলেন, ‘শুরু থেকেই আমার ভাবনায় ছিল এত বড় বড় মহীয়সীকে কীভাবে শিশুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি। বাচ্চাদের সামনে শুধু গল্প পড়ে গেলে তারা অনেক কিছুই বুঝতে পারবে না। তাদের মনে অনেক প্রশ্ন আসবে, সেসবের উত্তর না দিতে পারলে আমার উদ্যোগটি সফল হবে না। তাই আমি আমার মেয়ের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবলাম। একটা গল্প বলার সময় তাঁর মনে যা যা প্রশ্ন আসতে পারে, সেই প্রশ্নগুলো করার জন্য বানালাম শম্বু প্যাঁচা ও ধ্রুবতারা চরিত্র দুটো, যারা গল্পের সূত্রধর অমিয়ার কাছ থেকে শুনে শুনে প্রশ্ন করবে।’

২০ দিন সময় নিয়ে নওশাবা বানিয়েছেন অমিয়া, শম্বু প্যাঁচা ও ধ্রুবতারা পাপেট তিনটি। এরা আগামী কয়েক সপ্তাহ লেখক সুফিয়া কামাল, ফটোসাংবাদিক সাঈদা খানম, পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার, আইনজীবী কল্পনা চাকমা, বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরীর গল্প শোনাবে।