সব সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন কারিনা

কারিনা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কারিনা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বলিউডে স্বজনপ্রীতি সব সময়ই ছিল। তবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর স্বজনপ্রীতি নিয়ে আলোচনা–সমালোচনা আর গবেষণা এক ভিন্নমাত্রা পেল। ‘নেপো পুত্র–কন্যা’দের নিয়ে বানানো ট্রল আর মিমে ভেসে যেতে লাগল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে যাঁরা লড়ছেন, তাঁদের কথার বাণ তাক করা হলো কারিনা কাপুর খানের দিকে। কারিনাও ছেড়ে কথা বলেননি। কড়া জবাব দিয়েছেন সব সমালোচনার।

কারিনা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কারিনা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

নেপোটিজমের বিরুদ্ধে সব আলোচনাকে ‘ডিজগাস্টিং’ উল্লেখ করে কারিনা উল্টো প্রশ্ন তোলেন, ‘২১ বছর ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছি কেবল বাবা–মায়ের নাম ভাঙিয়ে? এটা স্রেফ পাগলের প্রলাপ।’ কারিনা আরও বলেন, তিনি অন্তত এক শ জনের নামের একটা তালিকা করতে পারেন, যাঁরা সবাই সুপারস্টারের সন্তান, কিন্তু বলিউডের রাস্তায় পথ চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে হারিয়ে গেছেন। কারিনা দুই দশকের বেশি সময় ধরে সফলতার সঙ্গে নিজের অবস্থান ধরে রাখার পেছনে নিজের মেধা, পরিশ্রম আর সংগ্রামের অবদান উল্লেখ করতে ভোলেননি। কারিনা বলেন, ‘প্রত্যেক সফল মানুষের একটা সংগ্রামের গল্প আছে। হ্যাঁ, আমি পকেটে ১০ টাকা নিয়ে ট্রেনে চড়ে বড় পর্দার স্বপ্নে বিভোর হয়ে মুম্বাই আসিনি। আমার সংগ্রামের গল্প হয়তো এতটা জবরদস্ত নয়। তাই বলে কি আমার সংগ্রামটা সংগ্রাম না? হ্যাঁ, আমার বাবা রণধীর কাপুর, মা ববিতা। সে জন্য কি আমাকে এখন জনে জনে ক্ষমা চাইতে হবে?’

এটুকু বলে ক্ষান্ত দেননি কারিনা। কড়া গলায় আরও বলেছেন, ‘একজন তারকাপুত্র বা তারকাকন্যাকেও নিজের যোগ্যতায় তারকা হতে হয়। পৃথিবীর প্রত্যেক তারকাকেই তারকা বানিয়েছেন দর্শক। যাঁরা আজ আমার দিকে আঙুল তুলছেন, তাঁদের হাত জোড় করে বলছি, আমাকে যদি আপনাদের পছন্দ না হয়, আমার ছবি দেখবেন না। কিন্তু উদ্ভট কথাবার্তা বলা বন্ধ করুন। এসব আলোচনার কোনো অর্থ নেই। বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার অক্ষয় কুমার, শাহরুখ খান, আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাও, তাঁরা আজ বলিউডের স্বপ্নে বিভোর সহস্র তরুণের আইডল। আজ আমি বা আলিয়া ভাট, আমরা নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ করেই পরের ছবিটা পাচ্ছি। দর্শকেরাই আমাদের তৈরি করেছেন। তাঁরাই আমাদের তারকাখ্যাতি ভেঙে চুরমার করার অধিকার রাখেন। আপনাদের মতো সুবধাবাদী রং বদলানো প্রাণীরা নন।’

কারিনা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কারিনা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম