লকডাউন সেলেনাকেও পাক্কা রাঁধুনি বানিয়েছে

সেলেনা গোমেজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সেলেনা গোমেজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। সেলেনা গোমেজের বেলায় এটি শতভাগ খাটে। মার্কিন এই সংগীতশিল্পী কাম অভিনয়শিল্পীকে এবার দেখা যাবে পাক্কা রাঁধুনির ভূমিকায়। এই লকডাউনে তিনি কীভাবে সময়টা কাজে লাগিয়েছেন, তাহলে শুনুন। 

বিশ্বের সেরা শেফদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করে কোরিয়ান, মেক্সিকান, মার্কিনসহ নানা জাতের, নানা পদের রান্না শিখেছেন। তারপর চটপট সেগুলো রান্না করেছেন। কখনো নিজের হাত পুড়িয়েছেন, কখনোবা ওভেনের। তবে এসবের আগে রান্নাঘর ও ঘরের আনাচকানাচে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা লাগাতে ভোলেননি। একদিকে সেলেনার রান্না হয়েছে, অন্যদিকে সেলেনা+শেফ নামের শোরও 'রান্না' হয়েছে। ১০ এপিসোডের এই সিরিজ দেখা যাবে এইচবিও ম্যাক্স–এ, ১৩ আগস্ট থেকে।

রান্নাঘরে সেলেনা গোমেজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
রান্নাঘরে সেলেনা গোমেজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

লকডাউনে সেলেনা আছেন তাঁর দাদা–দাদি ও দুই বন্ধুর সঙ্গে। সেলেনা ছাড়া এই চারজনকে দেখা যাবে সেলেনার রান্নার সহকারী হিসেবে। এই শো সম্পর্কে সেলেনা বলেন, ‘সবকিছু থেমে ছিল। তাই ভাবলাম, কিছু একটা করি। খেয়ালের বশেই কাজটা করা। আমারও অনেক দিন ধরে রান্না শেখার শখ ছিল। সেটাও মিটল। মানুষকে দেখানোর মতো একটা ব্যাপারও হয়ে দাঁড়াল। আমি জানি, চারপাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটছে। তবে আমি এ–ও জানি, এই শো আপনার মুখে হাসি ফোটাবে।’

১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ট্রেলারে সেলেনাকে গাইতে গাইতে রাঁধতে দেখা গেছে। কোরিয়ান ব্রেকফাস্ট, মাচা চকলেট চিপ কুকিজ, স্পাইসি মিসো রামেন, সি ফুড টোস্টাডা ও চিজ সিফ্লে রাঁধতে দেখা যাবে সেলেনাকে। লোকে কেন এই শো দেখবে? জানতে চাইলে সেলেনা বলেন, ‘রান্নার জন্য সব সময়ই আমার ভালোবাসা ছিল। আমি বরাবরই রান্না করতে ভালোবাসতাম। শুধু আমি জানতাম না কীভাবে রান্না করতে হয়। এই বেলা তা শিখে নিলাম। আর আপনাদের জন্য একটা দারুণ কনটেন্টও তৈরি হয়ে গেল। এই শো আপনাদের আনন্দ দেবে। আমার নিজেকে দেখে নিজেরই হাসি পাচ্ছে। কী যে বোকা বোকা দেখাচ্ছে আমাকে! খাবার পুড়িয়েছি, তা–ও ভালো। ভাগ্যিস ঘরটা এখনো পোড়াইনি। অক্ষতই আছে। রান্না কেমন হয়েছে ভুলে যান, ধরুন এটাই আমার সফলতা।’

সূত্র: সিএনএন