দাবি পূরণ না হলে বন্ধ হতে পারে সিনেপ্লেক্স

স্টার সিনেপ্লেক্সের সংবাদ সম্মেলন। ছবি-সংগৃহীত
স্টার সিনেপ্লেক্সের সংবাদ সম্মেলন। ছবি-সংগৃহীত

করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স। কবে প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা এই ক্ষতির জাঁতাকল থেকে মুক্ত হবেন, তা জানেন না। এদিকে বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ, পাঁচতারা হোটেল, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, পর্যটনসহ দেশের অর্থনীতির প্রায় সব খাতের চাকা সচল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো বন্ধ আছে প্রেক্ষাগৃহ। দেশের প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকাটা তাঁদের জন্য একটি অশনিসংকেত। এ অবস্থায় সরকার আন্তরিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে না এলে বন্ধ হয়ে যাবে দেশের জনপ্রিয় সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সিনেপ্লেক্স শাখায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেভ বিডি সিনেমা হ্যাশট্যাগ দিয়ে সেখানে আয়োজক কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে সাতটি দাবি তুলে ধরে। যেগুলো পূরণ হলে স্টার সিনেপ্লেক্স এ দেশে সিনেপ্লেক্স ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করে তারা। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নগরবাসীর বিনোদনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিগগিরই সিনেমা হল খুলে দেওয়া, জরুরি আর্থিক সহায়তা কিংবা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা, সিনেমা হলের টিকিটের ওপর সব ধরনের মূসক ও কর মওকুফের সুযোগ প্রদান, সুদবিহীন ঋণ প্রদানের অনুমোদন এবং উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র শর্তহীনভাবে আমদানির অনুমতি প্রদান।

শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে মাহবুব রহমান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রতিটি শাখা বিভিন্ন শপিং মলে ভাড়ায় পরিচালিত হয়। এই করোনাকালে শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছে ভাড়া মওকুফ করা ও অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার অনুরোধ করছি।’ প্রযোজক সমিতির কাছে অনুরোধ করে তিনি বলেন, সেন্সর পাওয়া সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। শুধু সিনেমা হল খুললেই হবে না, নতুন ছবি মুক্তি না পেলে দর্শক হলে আসবেন না।

মাহবুব রহমান আরও বলেন, ‘আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চমৎকার উদাহরণ হতে পারে। নির্ধারিত আসনের জন্য অল্পসংখ্যক লোক টিকিটের বিনিময়ে সিনেমা দেখেন। অন্যান্য জনবহুল স্থানের তুলনায় এখানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মানুষের বিনোদনের সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব বলে আমরা মনে করি। স্টার সিনেপ্লেক্স বরাবরই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন।’

সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান আরও বলেন, চলচ্চিত্রশিল্পের মেরুদণ্ড বলা যায় সিনেমা হলকে। হল না থাকলে চলচ্চিত্র বাঁচবে না। তাই সরকারের কাছে তাঁরা আবেদন করেন শিগগিরই দেশের হলগুলো খুলে দেওয়ার। এ ছাড়া সুদবিহীন ঋণসহ পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তারও আবেদন করেন তাঁরা।