শিগগিরই ফিরবেন না শিমু

এখনই শুটিংয়ে নামতে রাজি নন সুমাইয়া শিমু। ছবি: সংগৃহীত
এখনই শুটিংয়ে নামতে রাজি নন সুমাইয়া শিমু। ছবি: সংগৃহীত

এখনই শুটিংয়ে নামতে রাজি নন সুমাইয়া শিমু। দুই ঈদে কাজ করেননি। অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করারও অনুরোধ ছিল। শিমু কোনোমতেই শুটিংয়ে ফেরেননি। তিনি পরিস্থিতি দেখতে চান আরও কয়েকটা দিন। ‘সবাই আস্তে আস্তে কাজ শুরু করেছে। অনেকে আগে না করলেও এখন করছে। আমি আরেকটু দেখে কাজ করতে চাই। এখনই শুটিংয়ে ফিরতে চাইছি না,’ বলেন শিমু। তিনি জানান, ঈদে কাজের প্রস্তাব ছিল একাধিক। বিশেষ দিবসের কাজের প্রস্তাবও বাদ ছিল না। কাজে বেরোতে একেবারেই সাড়া পাননি নিজের ভেতর থেকে। তাই শিগগিরই শিমুকে পর্দায় দেখতে পাবেন না দর্শক।

লকডাউনের আগে একটি ওয়েব সিরিজে শেষ শুটিং করেন শিমু। তারপর থেকে আছেন বাড়িতেই। নিজের কাজ না থাকলেও এবারের ঈদে সিনিয়র অভিনেত্রীদের সাফল্যের সংবাদ পৌঁছেছে তাঁর কানে। তিনি নিজে সব কাজ দেখতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জেনেছেন দর্শকদের ভালো লাগার কথা। শোবিজের অনেকে তাঁকে জানিয়েছেন তাঁর সমসাময়িক অভিনেত্রীদের প্রশংসিত হওয়ার খবর। বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন শিমু।

শিমুর মতে, যেগুলো ভালো নাটক বলে বিবেচিত হয়েছে, তাতে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা গুণী অভিনেত্রী। হয়তো তাঁরা নিয়মিত কাজ করছেন না। তার মানে তাঁরা ভালো অভিনেত্রী নন? দর্শক তাঁদের পছন্দ করেন না? তা নিশ্চয়ই নয়। বিশাল জনগোষ্ঠী আছে, যাঁরা তাঁদের পছন্দ করেন। শিল্পী এক দিনে তৈরি হন না। অনেক দিনে তৈরি হন। যত দিন যেতে থাকে, শিল্পী তত পরিণত হতে থাকেন।

সুমাইয়া শিমু। ছবি: সংগৃহীত
সুমাইয়া শিমু। ছবি: সংগৃহীত

শিমু বলেন, ‘যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী, গল্প অনুযায়ী শিল্পীরা কাজ করবেন। সব ধরনের গল্প নিয়ে, সব ধরনের চরিত্র নিয়ে আমরা নির্মাতা, নাট্যকার, পৃষ্ঠপোষকেরা যদি কাজ করতে পারি, তাহলেই ভালো ভালো কাজ হবে। সব ধরনের গল্পে যদি নাটক তৈরি করা হয়, তাহলে গল্পের বৈচিত্র্য থাকে। দশক একঘেয়ে হন না। সব রকমের গল্প যে চলে, তা প্রমাণিত হলো এবার। দর্শক দেখতে চায় না, এটা কিন্তু ঠিক না।’
নাটকে চরিত্রাভিনেতা ও চরিত্রাভিনেত্রীদের হারিয়ে যাওয়াটা ইদানীং বেশ সমালোচিত হয়েছে। শিমু আলো ফেলেন সেদিকে। তিনি বলেন, নাটক মানে কিন্তু এ–ই নয় যে একই বয়সের চরিত্রের ওপর ১০০টা নাটক সবাইকে করতে হবে। একটা পরিবারে অনেক সদস্য থাকে। প্রত্যেক সদস্যের আলাদা বয়স থাকে, আলাদা গল্প থাকে। পৃথিবীর যেকোনো দেশের দিকে দেখেন। সব জায়গায়ই গল্প অনুযায়ী অভিনেত্রী থাকেন। নায়িকা মানে এই না যে, আমাকে ১৬ বছর বয়সী হতে হবে। একটা প্রধান চরিত্রে একজন ৬০ বছরের মানুষও থাকতে পারেন।

শিমু মনে করেন, ভালো গল্প প্রেমের হতে পারে কিংবা হতে পারে পারিবারিক। আর প্রেমের গল্প হলেই যে একটা নির্দিষ্ট বয়সের হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বিভিন্ন বয়সের মানুষের প্রেমও আসতে পারে নাটকে। তাতে কাজ করতে পারেন বিভিন্ন বয়সের অভিনয়শিল্পীরা। নাটকের গল্প একটা বয়সে আটকে থাকলে আটকে থাকবে নাটকের মানও।