সপ্তম শ্রেণীতেই প্রেমে পড়েছিলাম: শশী

শারমীন জোহা শশী, পেশায় অভিনয় শিল্পী। ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রের টুনি তিনি। এই চরিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। চলচ্চিত্র তাঁর প্রেম আর ছোট পর্দা তাঁর ভালোবাসা। দীর্ঘদিন পর্দায় নেই তিনি, ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঈদের নাটকের কাজ নিয়ে। এখনকার ব্যস্ততা আর ব্যক্তিগত অনেক অজানা বিষয়ে কথা বলেছেন শশী। পাঠকদের জন্য প্রথম আলোকে শশী দিয়েছেন এই সাক্ষাত্কার।

শারমীন জোহা শশী
শারমীন জোহা শশী

অজানা এক শশী...
শুরুতে অভিনয়ের প্রতি আমার একেবারে আগ্রহ ছিল না। বাবা থিয়েটার কাজ করতেন। কিন্তু আমার থিয়েটার ভালো লাগত না। কিন্তু নাচ শিখেছিলাম ছোটবেলাতেই। নাচতে ভালো লাগত। কিন্তু একটু যখন বড় হলাম, আমি প্রেমে পড়লাম। সেটা অভিনয়ের প্রেম। সেটা সপ্তম শ্রেণীতে। আমি শিশু একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলাম। সেটি ছিল ‘আয়শা মঙ্গল’ নামের একটি নাটক। পরিচালক ছিলেন মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। নাটকে আমি অভিনেত্রী বন্যা মির্জার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম।
শশীর পড়াশোনা...
আমি একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক হয়েছি। এখন স্নাতকোত্তর করতে যাচ্ছি।

শারমীন জোহা শশী
শারমীন জোহা শশী


অভিনেত্রী শশী নাকি আইনজীবী শশী?
আমি খুব ভালো একজন আইনজীবী হতে চাই; পাশাপাশি অভিনয়টাও করে যেতে চাই। ইচ্ছা আছে পরিচালক হওয়ার। জীবনে একটি হলেও ভালো চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজ করতে চাই। তবে তার আগে আমি কাজ শিখে নিতে চাই। ক্যামেরা, লাইটসহ পরিচালনার সব বিষয়গুলোতে দক্ষ হয়েই কাজ শুরু করব। পরনির্ভরশীলতা আমি পছন্দ করি না।
বর্তমানে কী কাজ করছেন?
‘ঈদের নাটকে অভিনয় করছি। সম্প্রতি শেষ হয়েছে আফজাল হোসেন মুন্না পরিচালিত ‘সেদিন দুজনে’ নাটকটি। এখানে আমার সহ-অভিনেতা ছিলেন পার্থ বড়ুয়া। তিন বছর পর জুটি হয়েছি আমরা। এ ছাড়াও পারভেজ আমিনের ‘কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়’ এই নাটকটিও ঈদের জন্য করেছি। এখানে আমার সহ-অভিনেতা রওনক হাসান। এই নাটকে আমি দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। আরও কয়েকটি নাটকের কাজ শুরু হবে।
‘হাজার বছর ধরে’র পর চলচ্চিত্রে নেই কেন?
বছর খানেক আগে শফিকুল ইসলাম পরিচালিত ‘সোয়াচান পাখি’ ছবির কাজ শুরু করেছিলাম, কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। আমি মন দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানায় এরকম গল্প আশা করি, কিন্তু গল্প পাই না। টলিউডের ‘চারু লতা’র মতো চরিত্র পেলে আমি খুব খুশি হতাম। নাটকে আমরা অনেক ভালো গল্প পাই, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে তেমন হলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারি।
আপনার প্রিয় সহ-অভিনেতা কারা?
শতাব্দী ওয়াদুদ, সজল ও শ্যামল মওলাকে আমার ভালো লাগে।