বৈচিত্রময় বর্ণাঢ্য জীবন

ক্লিন্ট ইস্টউড
ক্লিন্ট ইস্টউড

হলিউডের তারার জগতে ক্লিন্ট ইস্টউড এক বহুমুখী প্রতিভার নাম। তিনি একাধারে একজন অস্কার বিজয়ী অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক। আগামী ৩১ মে তাঁর ৮৪তম জন্মদিন। চলুন জানা যাক তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য:
ক্লিন্ট ইস্টউড ১৯৩০ সালের ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানফ্রানসিসকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিল ক্লিনটন ইস্টউড জুনিয়র। বাবা ক্লিনটন ইস্টউড সিনিয়র ছিলেন একজন অভিভাসী কর্মী, যিনি ইস্পাতের কাজ করতেন এবং মা মার্গারেট রুথ ইস্টউড ছিলেন একজন কারখানাশ্রমিক। জন্মের সময় ৫ দশমিক ২ কেজি ওজন হয়েছিল বলে তাঁর ডাকনাম রাখা হয়েছিল ‘স্যামসন’। পিডমন্ট জুনিয়র হাইস্কুলের পর ১৯৪৮ সালে ওকল্যান্ড টেকনিক্যাল হাইস্কুল শেষে সিয়াটল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন তিনি।

মূলত টিভি ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ইস্টউড অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয় ও সফল। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি জিতে নেন চারটি অস্কার। ১৯৫৫ সালে রহাইড-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু হয়, তবে জীবনের স্মরণীয় বাঁক আসে ১৯৭১ সালে। এ বছর তিনি দ্য বেগুইল্ড, প্লে মিস্ট্রি ফর মি ও ডার্টি হ্যারি—এই তিনটি বড় চলচ্চিত্রে কাজ করেন, যেগুলো খুবই জনপ্রিয় হয়। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি প্লে মিস্ট্রি ফর মি একটি থ্রিলার। ২০০৩ সালে মিস্টিক রিভার তাঁকে অস্কারে ২টি বিভাগে মনোনয়ন এনে নেয়। ছবিটির সংগীত পরিচালক এবং প্রযোজকদের একজনও ছিলেন তিনি। এরপর মিলিয়ন ডলার বেবি (২০০৪) ছবিতে অভিনয়ের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো সেরা অভিনেতার (ফ্রাংকি ডান চরিত্রে) অস্কারের জন্য মনোনীত হন, আর সেরা পরিচালকের অস্কার জিতে নেন।

মিলিয়ন ডলার বেবি ছবিতে ক্লিন্ট ইস্টউড ও হিলারি সোয়াংক
মিলিয়ন ডলার বেবি ছবিতে ক্লিন্ট ইস্টউড ও হিলারি সোয়াংক

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতি বিষয়েও যথেষ্ট সচেতন ইস্টউড। রিপাবলিকান পার্টির একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত তিনি৷ ২০১২ সালের রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করে বক্তৃতা দিয়ে মিডিয়ার শিরোনাম হন। এর আগে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার কারমেলের মেয়র নির্বাচিত হন ১৯৮৬ সালে এবং দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাস্থ্যের প্রতি যথেষ্ট সচেতন ইস্টউড একজন অধূমপায়ী, যদিও কিছু ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁকে ধূমপান করতে দেখা যায়। তিনি ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যসচেতন এবং নিয়মিত মেডিটেশন (ধ্যান) করেন।
ইস্টউডের আরেক পরিচয় তিনি একজন ভালো গলফ খেলোয়াড় এবং তেহামা গলফ ক্লাবের মালিক। তিনি একজন সনদধারী পাইলটও বটে। মাঝেমধ্যেই শুটিংয়ের সময় ট্রাফিক জ্যাম থেকে বাঁচতে তিনি নিজেই চড়ে বসেন হেলিকপ্টারের চালকের আসনে৷
ক্লিন্ট ইস্টউডকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চাইলে (www.clinteastwood.net) সাইটে ঢুকে বলতে পারেন আপনার ভালো লাগার কথা।
দেব দুলাল গুহ
ক্লিন্টইস্টউডডটনেট, আইএমডিবি, উইকিপিডিয়া, রোটেনটম্যাটোস অবলম্বনে।