পিঙ্ক ফ্লয়েডের অন্তহীন সমাপ্তি

২০ বছর পর এসেছে পিঙ্ক ফ্লয়েডের গান নিয়ে অ্যালবাম। নাম দ্য এন্ডলেস রিভার। সাইকেডেলিক রক ধাঁচের গান গেয়ে আলাদা অবস্থান তৈরি করে এই ইংলিশ রক ব্যান্ডটি।
পিঙ্ক ফ্লয়েডের অন্যতম সদস্য রিচার্ড ‘রিক’ রাইটের মৃত্যু হয় ২০০৮ সালে। এরপর এবারই প্রথম অ্যালবাম তৈরি করেছে পিঙ্ক ফ্লয়েড। তবে অ্যালবামে রিকের ছায়া রয়ে গেছে। এই অ্যালবামের মধ্য দিয়ে রিক রাইটের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিঙ্ক ফ্লয়েডের ডেভিড গিলমোর ও নিক মেসন। নিজেদের দীর্ঘদিনের এই সঙ্গীকে গানে গানে স্মরণ করতে চেয়েছেন তাঁরা।
পিঙ্ক ফ্লয়েডের চতুর্দশ অ্যালবাম দ্য ডিভিশন বেল বেরিয়েছিল ১৯৯৪ সালে। ওই অ্যালবামে কাজ করার আগে এবং কাজ করার সময় ডেভিড গিলমোর, রিক রাইট ও নিক মেসন একসঙ্গে যেসব সুর করেছিলেন, তার অনেকটাই রেকর্ড করে রাখা হয়। সেই রেকর্ডের পরিমাণ ছিল ২০ ঘণ্টা! পুরোনো সেই সুরগুলো নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করেন ডেভিড গিলমোর ও নিক মেসন। গত বছর থেকে তাঁরা সেই সুরগুলো শুনতে থাকেন।
এর মধ্য থেকে কিছু সুর তাঁরা বেছে নেন নতুন অ্যালবামের জন্য। এরপর তাঁরা মূল সুরের মধ্য থেকে কিছু অংশ অবিকৃত রেখে আর কিছু অংশ নতুনভাবে রেকর্ড করেন। রিক রাইটের বাজানো কি-বোর্ডের অংশগুলোর কোনো পরিবর্তন তাঁরা করেননি। তবে সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। পিঙ্ক ফ্লয়েডের সদস্যদের মতে, এই অ্যালবামের মধ্য দিয়ে তাঁরা প্রয়াত রিক রাইটকে সবার মধ্যে আবার ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন। সে যে পিঙ্ক ফ্লয়েডের প্রাণপ্রতিম ছিল, সে কথা তাঁরা শ্রোতাদের কাছে আবার নতুন করে জানাতে চান।
দ্য এন্ডলেস রিভার মূলত যন্ত্রসংগীতের অ্যালবাম। এখানে মাত্র একটি গানে ডেভিড গিলমোরের কণ্ঠ শোনা যাবে। গানটির শিরোনাম ‘লাউডার দ্যান ওয়ার্ডস’। গানটির কথা লিখেছেন ডেভিড গিলমোর ও তাঁর স্ত্রী পলি স্যামসন।
দ্য এন্ডলেস রিভার বের হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩৫১ কপি আর যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ ৭০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। এ কারণেই তা ইউকে অ্যালবামের শীর্ষ তালিকায় প্রথম ও ইউএস বিলবোর্ড ২০০ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া কানাডিয়ান অ্যালবামের তালিকায় তা প্রথম স্থানেই আছে। কানাডায় প্রথম সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩১ হাজার কপি।
এদিকে ডেভিড গিলমোর আর নিক মেসন জানিয়ে দিয়েছেন, এটাই পিঙ্ক ফ্লয়েডের শেষ অ্যালবাম। তাই পিঙ্ক ফ্লয়েড ব্যান্ডের ভক্তদের কাছে দ্য এন্ডলেস রিভার একই সঙ্গে আনন্দের আর দুঃখের।
মনোয়ারুল হক মনি
পিঙ্ক ফ্লয়েডের ওয়েবসাইট, বিলবোর্ড নিউজ ও উইকিপিডিয়া অবলম্বনে