এখ্লাসউদ্দিন আহমদকে স্মরণ

বাংলা একাডেমীর কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে শিশুসাহিত্যিক এখ্লাসউদ্দিন আহমদকে নিয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় আনিসুজ্জামান ও সৈয়দ শামসুল হক  l প্রথম আলো
বাংলা একাডেমীর কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে শিশুসাহিত্যিক এখ্লাসউদ্দিন আহমদকে নিয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় আনিসুজ্জামান ও সৈয়দ শামসুল হক l প্রথম আলো

বাংলার শিশুসাহিত্যের মরুভূমিতে সবুজ বাগান গড়েছিলেন তিনি। তাঁর বন্ধু, সুহৃদ আর সহযোদ্ধারা বললেন, তিনি শিশুসাহিত্যকে করেছেন স্মার্ট, সাবালক। ছড়া, কবিতা, উপন্যাসসহ অসংখ্য শিশুসাহিত্য দিয়ে তিনি শিশুদের জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন এক স্বপ্নের জগৎ। প্রকৃত অর্থে বাংলার শিশুসাহিত্যের রুচি গড়ে তুলতে যে কজন মানুষ অবদান রেখেছেন এখ্লাসউদ্দিন আহমদ তাঁদের একজন।
বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে উপস্থিত বক্তারা গতকাল বিকেলে তেমনটিই বলছিলেন তাঁর সম্পর্কে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর মারা যান ষাটের দশকের এই পরিশ্রমী সাহিত্যিক। তাঁর স্মরণে গতকাল বিকেলে বাংলা একাডেমিতে উপস্থিত হয়ে স্মৃতিচারণা করেন তাঁর বন্ধু-স্বজন ও সহকর্মীরা। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, সাহিত্যিক হায়াৎ মামুদ, শুভ রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, কবি আসাদ চৌধুরী, শিল্পী রফিকুন নবী, শিল্পী আবুল বারক আলভী, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, মাহবুব তালুকদারসহ আরও অনেকে।
বাংলা একাডেমির ফেলো এখ্লাসউদ্দিন আহমদ সম্পাদনা করতেন শিশুপত্রিকা টাপুর টুপুর। স্মরণসভায় প্রয়াত গীতিকার গোবিন্দ হালদারের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।