অপূর্ব ও প্রভার বিয়ে দেননি চয়নিকা!

চয়নিকা চৌধুরী, অপূর্ব ও প্রভা
চয়নিকা চৌধুরী, অপূর্ব ও প্রভা

অপূর্ব ও প্রভার বিয়েতে তাঁর নিজের কোনো প্রভাব ছিল না বলে জানালেন নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। অপূর্ব ও প্রভার বিয়ে এবং বিচ্ছেদের দুই বছর পর তাঁদের নিয়ে মুখ খুলেছেন এ নাট্যনির্মাতা। বৈশাখী টেলিভিশনের আড্ডার অনুষ্ঠান ‘শুধুই আড্ডায়’ এসব কথা বলেন চয়নিকা চৌধুরী।

অপূর্ব ও প্রভা ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট চয়নিকা চৌধুরীর নাটকের সেট থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। বছর পেরোতে না পেরোতেই আবার তাঁদের ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। ওই সময়  দুজন শীর্ষ অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দেওয়ার জন্য চয়নিকা চৌধুরীর প্রভাব রয়েছে বলে অনেকেই ধারণা করেন।

বৈশাখী টেলিভিশনের ‘শুধুই আড্ডা’ অনুষ্ঠানে চয়নিকা চৌধুরী এ-ও বলেছেন, ‘অপূর্ব ও প্রভার বিয়ে আমি দিইনি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানতামও না। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ মনে করে তাঁদের দুজনের বিয়ে আমিই দিয়েছি। বিষয়টি মোটেও সত্যি নয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।’

প্রথম আলো ডটকমকে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকা ফারহানা নিশো আমাকে একটি প্রশ্ন করেন যে; এমন একটি ঘটনা যা সবাই সত্য বলে জানে, অথচ সেটার মতো মিথ্যা আর নাই।তখন আমি উত্তরে অপূর্ব-প্রভার বিয়ের ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলি।

এত দিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলা প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে চয়নিকা বলেন, ‘গত দুই বছরে নানা মানুষ পদে পদে আমাকে অপূর্ব-প্রভার বিয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্ন করে।এমনকি তাঁরা এও বলতে থাকেন, এই বিয়েতে আমারই ভূমিকা ছিল বেশি।বিষয়টি নিয়ে কথা বলার খুব একটা সুযোগ পাইনি।  এখন যেহেতু আমার সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করার সুযোগ আসছে তা জানিয়েছি কথা বলেছি। সবকিছু মিলিয়ে যদি বলি তা হলে অবশ্যই বলব, চয়নিকা চৌধুরী একজন ভালো মানুষ।’

নাট্যনির্মাতা হিসেবে ক্যারিয়ারের এক যুগ অতিক্রম করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। নিজের প্রসঙ্গে চয়নিকা বলেন, ‘যেকোনো নির্মাতার জন্য এক দশক কাটানো বড় ঘটনা। সফলতার সঙ্গে এত দিন কাজ করতে পেরে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

খুদেবার্তার মাধ্যমে দর্শকদের পাঠানো নানা প্রশ্ন নিয়ে চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন ফারহানা নিশো। পলাশ মাহবুবের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় ‘লীজান শুধুই আড্ডা’ প্রচারিত হবে কাল শনিবার রাত নয়টা ১০ মিনিটে।