সালমান বলেছিলেন বলেই!

সালমান খান ও কঙ্গনা রনৌত।
সালমান খান ও কঙ্গনা রনৌত।

কখনো এক ছবিতে কাজ না করলেও সালমান খান এবং কঙ্গনা রনৌতের সম্পর্কটি চমৎকার। খুব ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও দুজনের সম্পর্কের যে উষ্ণতা; তা কেবল ভালো বন্ধুদেরই থাকে। আর সালমান খানকে যে ঠোঁটকাটা স্বভাবের কঙ্গনা রীতিমতো মান্য করেন সম্প্রতি তা স্পষ্ট করেছেন ‘কাট্টি বাট্টি’ ছবির পরিচালক নিখিল আদভানি। আদভানি জানিয়েছেন— ‘কাট্টি বাট্টি’ ছবিতে অভিনয় করবেন কীনা এ নিয়ে কঙ্গনা রনৌত তাঁকে রীতিমতো অপেক্ষাতেই রেখেছিলেন। শেষে সালমান খান কথা বলার পরই কেবল এ অভিনেত্রী ‘কাট্টি বাট্টি’তে অভিনয়ের জন্য চুক্তি সই করেন।

যেকোনো বিষয় নিয়েই স্পষ্ট, চাঁছাছোলা মন্তব্য করতে পিছপা হন না কঙ্গনা। তাঁর এ ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য বলিউডের অনেক ডাকসাইটে নির্মাতাও তাঁকে খানিক সমঝেই চলেন। কিন্তু বলিউডে একমাত্র সালমান খানের বিষয়েই যে কঙ্গনার আলাদা একটা কোমল দিক আছে, অনেকের মতো নিখিলেরও তা জানা ছিল। আর নিখিলও এ কারণেই দ্বারস্থ হয়েছিলেন সালমানের।

এ প্রসঙ্গে নিখিল আদভানি জানিয়েছেন, এ ছবির চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার পর কঙ্গনা তাঁকে বলেছিলেন— চিত্রনাট্যটি পড়ে দেখবেন তিনি। আর দু-এক দিন পরে এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানাবেন। অবশ্য, নিখিল আদভানিও ভাবেননি; কঙ্গনা এ ছবিতে অভিনয়ে রাজি হবেন। এরপর বেশ কিছুদিন কাটলেও কঙ্গনার তরফে এ বিষয়ে কোনো সাড়াশব্দ পাননি আদভানি।


এদিকে, ‘কাট্টি বাট্টি’ ছবির চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার মাত্র কিছুদিন আগেই রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের ‘তানু ​ওয়েডস মানু’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা। আবারও অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় একই ধরনের আরেকটি ছবিতে অভিনয় করতে চাইছিলেন না বলেই হয়তো কঙ্গনা সময় নিচ্ছিলেন। আর এরই মধ্যে নিখিলের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন সালমান খান।

কঙ্গনাকে সালমান চিত্রনাট্যটি পড়ে দেখতে বলার পাশাপাশি চিত্রনাট্যে কঙ্গনার চরিত্রটিও একটু মনোযোগ নিয়ে দেখতে বলেছিলেন। কঙ্গনা পরে চিত্রনাট্যটি পড়ে দেখেছেন যে এতে যে চরিত্রটি বর্ণনা করা হয়েছে তা তাঁর সঙ্গে দারুণভাবে মিলে যায়। আর এরপরেই রাজি হয়েছিলেন কঙ্গনা।

এ প্রসঙ্গে কঙ্গনা জানিয়েছেন, শুরুতে খুব একটা আগ্রহী ছিলাম না আমি। পরে সালমান যখন আমাকে চিত্রনাট্যটা ভালো করে দেখতে বলেন, ভালো করে তা পড়ার পরই বুঝতে পারি কেন সালমান আমাকে এমন বলেছিলেন। এ ছবিতে আমার চরিত্রটি যেভাবে আঁকা হয়েছে তা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।

এদিকে, সালমানকে সরাসরি ধন্যবাদ না জানালেও আবেগাপ্লুত নিখিল বলেছেন— এ ছবির জন্য সবাই যে আমাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন আমি তা খুব অনুভব করেছি। বিশেষ করে কঙ্গনা অভিনয়ে সম্মতি দেওয়ার পর তা আরও ভালোভাবে বুঝেছি।