এক'শ বস্তা চাল

এক’শ বস্তা চাল নাটকের একটি মুহূর্ত l ছবি: শিল্পকলা একাডেমীর সৌজন্যে
এক’শ বস্তা চাল নাটকের একটি মুহূর্ত l ছবি: শিল্পকলা একাডেমীর সৌজন্যে

জাপানের নাগাওকা নগরের একটি সামুরাই পরিবারের গৃহকর্তা ইটো কি হেইটা দিগ্ভ্রান্ত। চাল তো দূরের কথা, খুদও নেই ঘরে। নিজের পেট খালি, কিন্তু ছেলে সিয়েতারোকে না খাইয়ে রাখেন কীভাবে! বাবা ইটো কি হেইটা ঠিক করেন ছেলেকে বৌদ্ধ আশ্রমে ভিক্ষু করে পাঠাবেন। তাতে আর যা-ই হোক ছেলের মুখে অন্তত এক বেলা অন্ন জুটবে। কিন্তু ছেলের কি তা মনে ধরে!
বাবা-ছেলের এমনি নাটকীয় দ্বন্দ্বে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে পিনপতন নীরবতা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে হয়ে গেল এক’শ বস্তা চাল নাটকের ৭৫তম প্রদর্শনী। জাপানি নাট্যকার ইওজো ইয়ামামতোর লেখা নাটকটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম। নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম সারোয়ার। জাপান দূতাবাসের সহায়তায় শিল্পকলা একাডেমী নাটকটির প্রযোজনা করছে। নাটক প্রদর্শনীর আগে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাশাতো ওয়াতানাবে এবং শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। অল্প কথায় সবাই মূলত নাটকটির প্রশংসা করলেন।
আজ থেকে ১৪০ বছর পেছনের জাপানের প্রেক্ষাপটে সামুরাই সম্প্রদায়ের বিলুপ্তির মুহূর্ত ক্ষণে জাপানবাসীর জীবনের যে পালাবদল এবং নবজাগরণ, তা নিয়েই নাটক এক’শ বস্তা চাল।