নদীর বয়ে চলা

নদী, ছবি: আনন্দ
নদী, ছবি: আনন্দ

‘গান নিয়ে অনেক স্বপ্ন। ভালো গান করব। শ্রোতারা যে ধরনের গান শুনতে চান, তেমন ধরনের গান।’ বললেন মৌমিতা তাশরিন। সবার কাছে তিনি পরিচিত ‘নদী’ নামে। ‘চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ’ প্রতিযোগিতায় ২০০৯ সালে হয়েছিলেন দ্বিতীয় রানারআপ।
নদীর প্রথম অ্যালবাম বেরিয়েছে এ বছর এপ্রিল মাসে। নাম শিরোনামে । গান রয়েছে ১৩টি। নদী বলেন, ‘অ্যালবামটিতে নয়জন সুরকার ও সংগীত পরিচালকের গান গেয়েছি। নয়টি নয় ধরনের গান পেয়েছেন শ্রোতারা।’
এরই মধ্যে অ্যালবামের ‘জল ছায়া’ ও ‘দেশি গার্ল’ গান দুটির মিউজিক ভিডিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
নদী বললেন, ‘সম্প্রতি কানাডাতে গান গাইতে গিয়েছিলাম। ওখানে তিনটি শহরে তিনটি অনুষ্ঠানে গান করেছি। তিনটি অনুষ্ঠানেই এই দুটি মিউজিক ভিডিওর গান সবাই আবারও শোনার জন্য অনুরোধ করেছেন।’
শিরোনামে নদীর প্রথম একক অ্যালবাম হলেও এর আগে তিনি ১৩টি দ্বৈত ও মিশ্র শিল্পীর অ্যালবামে গান গেয়েছেন। অ্যালবামের জন্য প্রথম গান করেন ২০০৯ সালে।
এবার নদীর গান শেখার শুরুর দিকের গল্প শোনার পালা। নদী জানান, পাঁচ বছর বয়স থেকেই শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেওয়া শুরু তাঁর। এরপর ২০০৫ সালে বিটিভিতে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় শাস্ত্রীয় সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর দেশাত্মবোধক গানে বিভাগে প্রথম হন। ২০০৮ সালে রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পান প্রথম মান। ২০০৯ সালে ‘চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ’ প্রতিযোগিতার হন দ্বিতীয় রানারআপ। এরপর তিন বছর আর গানের জগতে দেখা যায়নি নদীকে। কেন?
নদী বলেন, ‘ওই সময়টাতে সংগীত চর্চা করেছি ঠিকই, তবে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি পড়াশোনাকে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি।’
২০১৩ সালে গানের জগতে ব্যস্ত হতে দেখা যায় তাঁকে। এ এস এম তারেকের সঙ্গে মুগ্ধতা নামে তাঁর দ্বৈত অ্যালবাম বাজারে আসে। ওই সময় তাঁর ‘মুগ্ধতা’ গানটি জনপ্রিয় হয়। এসেছে গানটির মিউজিক ভিডিও। নদী বলেন, ‘মুগ্ধতা গানটি আমার সংগীতজীবনে নতুন পথ তৈরি করে দেয়।’
চলচ্চিত্রের গানে নিয়মিত কণ্ঠ দিচ্ছেন নদী। ২০১৩ সালে এক পলকে দেখা ছবিতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁর প্লেব্যাক। এ পর্যন্ত আটটি ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
নদী রাজশাহীর মেয়ে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে নদী সবার ছোট। এখন পড়াশোনা করছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি)। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক করছেন।