>
সবার কাছে জুয়েল আইচ একজন জাদুশিল্পী। নানা সময় তাঁকে বিজ্ঞাপনচিত্র আর টিভি অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে। এই জাদুশিল্পীকে এবার দেখা যাবে অভিনেতা হিসেবে। প্রাচীরপেরিয়েনামের একটি ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গতকাল ছবিটি নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
শুনলাম, আপনি নাকি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন?
ঠিকই শুনেছেন। প্রাচীর পেরিয়ে নামের একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা পাকাপাকি হয়ে গেছে।
হঠাৎ অভিনয়ে?
শিশুদের নিয়ে প্রাচীর পেরিয়ে ছবির গল্প। আমরা প্রায় সময়ই বলি, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। বাস্তবে আমরা শিশুদের জন্য কতটা করতে পারি? আমি মনে করি, সমাজ যদি শিশুদের জন্য সহানুভূতিশীল না হয়, পুরো ব্যাপারটাই কাগজে-কলমে থেকে যাবে। নারী এবং শিশু অধিকার নিয়ে কোনো কাজের প্রস্তাব এলে তাতে বরাবরই আমার আগ্রহ থাকে। তাই তো ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছি। তা ছাড়া পরিচালক শাহানূর রিপন যেভাবে গল্পটি ভেবেছেন, সেই ভাবনার আমি খুবই প্রশংসা করি। আমি মুগ্ধ হয়েছি। ভবিষ্যৎ বলবে যে কতখানি সফল হতে পারব এ কাজে।
ছবিতে আপনার চরিত্র কী?
ছবিতেও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ নামে থাকব। ছবিটি যেসব বাচ্চা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে, তাদের আমার শৈশবের নানা গল্প বলব। কিন্তু সেটা শিক্ষকের মতো নয়, বন্ধুর মতো করে বলব।
আপনি তো এর আগেও একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন?
হ্যাঁ, এর আগেও আমি একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম। আজিজুর রহমানের ছুটির ঘণ্টা নামের সেই ছবিটি বেশ আলোড়ন তুলেছিল। এই ছবির পরে অনেক প্রস্তাবই এসেছিল। জাদু নিয়ে জোরেশোরে লেগে ছিলাম বলে রাজি হইনি।
জাদু নিয়ে ব্যস্ততা এখন কেমন?
খুব ভালোই ব্যস্ত বলতে পারেন। শীতকালে ব্যস্ততা বেশি থাকে। এ সময়টাতে দেশে নানা অনুষ্ঠান হয়। এসব অনুষ্ঠানে জাদুকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে জাদুর চাহিদাও থাকে বেশি। কারণ, জাদুর ভাষাটা একেবারে সর্বজনীন। এ বছরের মাঝামাঝি জাদু নিয়ে দেশের বাইরে যাব।
সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের