মিশার আফসোস
ঢাকাই ছবির খল চরিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। ৩০ বছরের এই দীর্ঘ অভিনয়জীবনে মিশা কাজ করেছেন প্রায় আট শতাধিক ছবিতে। কিন্তু কখনোই কোনো ছবিতে অভিনয় না করার জন্য তাঁর আফসোস ছিল না। অথচ এবারই প্রথম কোনো ছবিতে কাজ করতে না পারার জন্য আফসোসের আগুনে পুড়ছেন এই অভিনেতা।
দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত ঢাকা অ্যাটাক ছবিটিতে কাজ করতে না পারার জন্যই মিশার যত আফসোস। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন মিশা সওদাগর।
এ প্রসঙ্গে মিশা বলেন, ‘খুব দারুণ একটা চরিত্র ছিল। অভিনয়ের বড় একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু পাঙ্কু জামাই ছবির শিডিউলের কারণে ঢাকা অ্যাটাক ছবিতে অভিনয় করা সম্ভব হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘পরে দেখলাম যে ছবির জন্য ঢাকা অ্যাটাক ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হইনি, সেই পাঙ্কু জামাই ছবির কাজই সময়মতো শুরু করা সম্ভব হয়নি।’
ঢাকা অ্যাটাক ছবির প্রসঙ্গে মিশা আরও বলেছেন, ‘একজীবনে অনেক ছবির প্রস্তাবই পেয়েছি। এই সুযোগে অনেক গল্পই পড়া হয়েছে, অভিনয়ও করেছি অসংখ্য ছবিতে। কিন্তু কোনো ছবির কাজ ছেড়ে দেওয়ার পর এমন আফসোস হয়নি। এই ছবির জন্য খুব আফসোস হচ্ছে।’ তিনি বলেন, দীপনের চিন্তাভাবনা সবকিছু অনেক ভালো লেগেছিল। মনে হচ্ছে, কাজটা ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছি।
ঢাকা অ্যাটাক ছবিতে অভিনয় করতে না পারলেও এ ছবির জন্য মিশার অনেক শুভকামনা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
মিশা বলেন, নির্মাতা হিসেবে দীপন ভালো করবে। ছবির গল্পটাও ভালো।
স্নাতক পর্বের পড়াশোনা শেষ করার পর ১৯৮৬ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন মিশা। অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তখন একেবারেই ছিল না তাঁর। তবে নাচতে পারতেন। খেলাধুলা করতেন, ফলে শারীরিক গড়নটা ছিল ছিপছিপে। নায়ক হিসেবেই নতুন মুখের জন্য নির্বাচিত হন মিশা। নায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি ছিল চেতনা। অমিত হাসান, শাহীন আলম ও ইমরানের সঙ্গে নায়ক ছিলেন অমর সঙ্গী ছবিতেও।
মিশা জানিয়েছেন, হুমায়ুন ফরীদিকে দেখে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হন তিনি। আশা ভালোবাসা ছবিতে প্রথম খলচরিত্রে অভিনয় করেন মিশা সওদাগর।