দ্বিতীয় দিনেও উত্সবমুখর হে ফেস্টিভ্যাল

ফেস্টিভ্যালে (বাঁ দিক থেকে) ক্রিস হেইজার, কায়সার হক, ইলিয়ট ওয়েনবার্গার ও ডেভিড সুক
ফেস্টিভ্যালে (বাঁ দিক থেকে) ক্রিস হেইজার, কায়সার হক, ইলিয়ট ওয়েনবার্গার ও ডেভিড সুক

পাপেট তৈরির গল্প ও পাপেট চরিত্রদের উপস্থিতি দিয়ে আজ শুক্রবার শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের হে ফেস্টিভ্যাল। সিসিমপুরের পারুল, ভুলু ও অন্য চরিত্রদের সঙ্গে শিশুরা মেতে ওঠে অনাবিল আনন্দে। দেশ-বিদেশের সাহিত্যচর্চার নানা দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি শিশুদের জন্যও চারটি বিশেষ প্যানেলের আয়োজন করা হয়।

বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে সকাল নয়টা থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন প্যানেলে সাহিত্যবিষয়ক আলোচনা। বর্ধমান হাউসের সামনে প্রথম দিনের মতো আজও দীর্ঘ সময় ধরে চলে মারফতি গান।

আজকের প্রথম প্যানেলে ছিল প্রকাশনা শিল্পের ভবিষ্যত্ নিয়ে আলোচনা। এর পরে অ্যা লাইফ ইন লেটারস শীর্ষক প্যানেলে বিশ্বসাহিত্য, রাজনীতি ও জীবনাচরণ নিয়ে কথা বলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ ও চলচ্চিত্রনির্মাতা তারিক আলি। আলোচনার একপর্যায়ে তারিক আলী উপমহাদেশীয় পরিবারতন্ত্র ও রাজনীতির করুণ ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন।

বেলা ১১টায় ছোটো মঞ্চে শুরু হয় অনুবাদ নিয়ে আলোচনা। কথাসাহিত্যিক কাজী আনিস আহমেদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত অনুবাদকেন্দ্র ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টারের নবযাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে এই আলোচনাটি পরিচালিত হয়। এতে অংশ নেন খ্যাতনামা অনুবাদক ও ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টারের প্রধান কায়সার হক, মার্কিন গবেষক ইলিয়ট ওয়েনবার্গ, মার্কিন অনুবাদক ডেভিড শুক ও ক্রিস হেইজার। কায়সার হক ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।


একই সময় মূল মঞ্চে গল্পকার পারভেজ হোসেনের সঞ্চালনায় সাহিত্য আড্ডা চলছিল। এতে অংশ নেন প্রথিতযশা সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক ও হাসান আজিজুল হক। এই দুই সাহিত্যিক নিজেদের দীর্ঘ সংগ্রামময় জীবন, বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, রাজনীতিতে তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

একই সঙ্গে বর্ধমান হাউসের সামনে চলছিল ছড়া সাহিত্যিকদের আলোচনা ও আড্ডা। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা তপন বাগচী এবং আসলাম সানী, আনজীর লিটনসহ নয়জন ছড়াকার এতে অংশ নেন। এখানে ‘মিস্টিক সোল’, ‘দ্য নিউ সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক দুটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ধর্ম, ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিকতা ও দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক উত্থান নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

শেষ বিকেলে মিসরকে নিয়ে একটি প্যানেলে ‘ঢাকা ট্রিবিউন’-এর সম্পাদক জাফর সোবহান, মিসরীয় লেখক আহদাফ সোয়েফ ও কানাডার সাহিত্যিক উইলিয়াম সেইহার্টের আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা। এ ছাড়াও ব্রিটেনের সাহিত্যবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘গ্রানাটা’ নিয়ে একটি প্যানেল পরিচালনা করার কথা রয়েছে খ্যাতনামা লেখক তাহমিমা আনামের।